সাপের ছোবল খেয়ে জীবন্ত সাপ ধরে ক্যানিং হাসপাতালে মালদা’র যুবক।

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং:- সাপের ছোবল খেয়ে সাপ ধরে ফেলেছিলেন মালদা জেলার এক যুবক। এরপর নিজে বাঁচার জন্য এবং সাপ কে বাঁচানোর জন্য হাজীর হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমা হাসপাপাতালে।বর্তমানে ওই যুবক সুস্থ রয়েছে। সাপটি কে ও জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মালদা জেলার উত্তর মহারাজপুর এলাকার বাসিন্দা কুরবান। ক্যানিং মহকুমা এলাকার হাটপুকুরিয়ায় টাওয়ার বসানোর কাজ করছিলেন।সোমবার রাতে একটি সাপ কামড় দেয়।তৎক্ষণাদ সাপটি কে ধরে সোজা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হয় ওই যুবক। যুবকের হাতে সাপ দেখে রীতিমতো থ হয়ে যায় হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগী সহ তাদের পরিবার পরিজন।হূলস্থুল বেধে যায় হাসপাতাল চত্বরে। এরপর খবর দেওয়া হয় যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা ক্যানিং কে।সংস্থার পক্ষে দেবাশীষ দত্তের হাতে সাপটি তুলে দেয় ওই যুবক।
দেবাশীষ দত্ত জানিয়েছে সাপটি বিষ হীন। যার নাম ঘরচিতি বা চিতিবোড়া।ফলে ভয়ের কিছু নেই।অন্যদিকে সাপের কামড় খাওয়া মালদা জেলার যুবক কুরবান ও তার দাদা আফজল হোসেন জানিয়েছে ‘সাপও তো একটা প্রাণী।মেরে কি হবে?তারপর সাপটি ধরে আনতে পারায় চিকিৎসার সুবিধা হয়েছে।সাপটিকে মেরে দিলে একদিকে যেমন চিকিৎসায় ব্যঘাত ঘটতো,তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতো। ফলে সাপ কখনও মারা উচিৎ নয়।
অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন ‘সাপ সম্পর্কিত প্রচারের জন্য বর্তমান সমাজ সচেতন হচ্ছে। যার ফলে সাপে কামড় দিলে সাপ কে না মেরে ধরে নিয়ে সোজা হাসপাতালে আসছেন। এটা আগামীদিনের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *