প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ধুঁকছে বাঁশের শিল্প।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সকাল থেকে সন্ধ্যা সখ্যতা বাঁশ ও বেতের সঙ্গেই, সংসার চালাবার রুটি রোজকার বাঁশ ও বেত কে ঘিরেই। সকাল হলেই শুরু হয় বাঁশ,বেত দিয়ে গৃহস্থালির জিনিস তৈরির কাজ। পরিবারের সকলে মিলেই নিপুণ হাতে তৈরি করে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত হরেক জিনিস রকমের জিনিসপত্র , সেই সমস্ত জিনিস বাজারে বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোনমতে হোঁচট খেতে খেতে চলে সংসার।
ক্রমাগত প্লাস্টিকের জিনিস পত্রে বাজার ছেয়ে গেছে ফলস্বরূপ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বাঁশ ও বেতের তৈরি গৃহস্থালি জিনিসপত্রের কদর ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে বাঁশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলি।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শাসপুর হলদি গ্ৰামে ডোম সম্প্রদায়ের এক কারিগর বলেন আমাদের বাবা,দাদুরা এই কাজ করে গেছেন বর্তমানে আমরা এই কাজ দীর্ঘদিন করে যাচ্ছি কিন্তু উন্নতির কোন পথ দেখতে পাচ্ছি না।
এর অন্যতম কারণ হিসাবে বাজারে প্লাস্টিকের রমরমাকে চিহ্নিত করেন তিনি।
সকাল থেকে সন্ধা স্বপ্নের জাল বুনে, একবুক আশা নিয়ে বাজারেও যায় কিন্তু নিরাশার অন্ধকারে হাতরে ফিরে স্বপ্নের উন্নতির আশা। এভাবেই যায় দিন-সপ্তাহ- মাস, ঘুরে-ফিরে আসে বছর,, স্বপ্ন হাহাকার করে বাস্তবের রুক্ষ ভূমিতে দাঁড়িয়ে।
অথচ এমনও দিন গেছে যখন বাঁশ ও বেতের জিনিস পত্রের কদর ছিল গৃহস্থের কাছ কিন্তু সেসব দিন গেছে তো গেছেই,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *