পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ন নদীর পাড়ে কোলাঘাটের কোলা গ্রাম সংলগ্ন বড়িশা গ্রামের মুখার্জি বংশের দান করা জায়গা । ঝিটে বেড়ার কোন রকমে কয়েকটি ঘর। ১৯২৩ র আজকের দিনের মতই এক ২৩ শে এপ্রিল স্কুলের উদ্বোধন করেন কুক সাহেব নামে এক বৃটিশ প্রশাসক।

তারপর দীর্ঘ একশোটি বছর। রূপনারানের বিরামহীন স্রোতধারার মত বয়ে গেছে কত স্মৃতি, কত ভালোমন্দ গৌরবগাথা ইতিহাস। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল বর্ষব‍্যাপী শতবার্ষিকী পালনের।
২২শে এপ্রিল রাত ১২ টা অতিক্রান্ত হতেই সারা কোলাঘাট জুড়ে ঘরে ঘরে বেজে ওঠে শঙ্খ ও উলুধ্বনি। ঘরে ঘরে প্রজ্বলিত হয় মোমবাতি। রাতের আকাশ উদ্ভাসিত হয় আতশবাজির আলোর রোশনাইয়ে। এলাকাবাসী তাদের প্রিয় বিদ‍্যালয়ের শতবর্ষে পদার্পণ মুহুর্তকে আবেগ উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনায় বরণ করে নেন।
২৩ শে এপ্রিল সকাল সাত টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমবেত হন বিদ‍্যালয়ের সাথে যুক্ত প্রাক্তন বর্তমান বিভিন্ন স্তরের মানুষ জন। জাতীয় পতাকা এবং বিদ‍্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন অশীতিপর দুই প্রাক্তন ছাত্র যথাক্রমে মহাদেব সেনগুপ্ত এবং মঙ্গলময় সরকার। প্রয়াতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রাক্তন ছাত্র তথা বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী সহ উপস্থিত সর্বস্তরের মানুষ জন। সযবেত কন্ঠে ধ্বণিত হয় জাতীয় সংগীত। এই সম্বন্ধে বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সুজন বেরা বলেন,- “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন‍্য খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা হল। শনিবার কোলাঘাটে এক বর্ণ ও বৈচিত্রপূর্ণ প্রভাতফেরি সংগঠিত হয়। ” তবে আমি খুব গর্বিত আমি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং পরবর্তী সময়ে এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছি,
এইদিন উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সত্তোর উর্দ্ধ আনন্দ জৈন আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন,- আমি থেকে আমার তিন প্রজন্ম এই স্কুলের ছাত্র। শিক্ষাদানে এই বিদ্যালয় আমাদের কাছে মাতৃসমা। সব মিলিয়ে শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিদ্যালয়ে এখন শুধু ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক,শিক্ষিকা ও অভিবাবকদের আনন্দের উচ্ছ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *