সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং : – একটি দুটি নয়,একে বারেই ১০৯ টি বিশালাকার ভোলা মাছ ধরা পড়লো মৎস্যজীবীদের জালে।প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নদীখাড়ি থেকে ধরাপড়া ভোলা মাছ গুলো বিক্রির জন্য রবিবার রাতে ক্যানিংয়ে আনা হয়। ১০৯ টি বিশাল আকার ভোলা মাছের এক একটির ওজন ১৪ থেকে ১৬ কিলো পর্যন্ত।প্রতি কেজি ৯০০ টাকা দরে মোট প্রায় ১৫ কুইন্ট্যাল ভোলা মাছ বিক্রি হয় তেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায়।
মূলত এই ভোলা মাছ গুলি সাধারণত ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এই মাছের পটকা থেকে মানব শরীরের সেলাই করার সূত্র এবং বিভিন্ন ওষুধের খাপ তৈরিতে কাজে লাগানো হয়।উল্লেখ্য সরকারী ভাবে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ থেকে জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। সমস্ত ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকার উপর থাকে নিষেধাজ্ঞা।তার মধ্যে কি করে এতগুলো ভোলা মাছ ধরা পড়লো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ক্যানিং ১ ব্লকের মৎস্য আধিকারীক অরুণ কুমার দেব জানিয়েছেন ‘মূলত ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইলিশ মাছের প্রজননের সময়।এই সময় নদীতে মাছ ধরলে ইলিশের প্রজনন নষ্ট হয়।বিগত দিনের তুলনায় এই সময় মাছ ধরার প্রবণতা মৎস্য দফতরের নজরদারীর ফলে অনেকাংশ কমে গিয়েছে।তবে নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও কি ভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
মৎস্যজীবিদের জালে ১০৯ বিশালাকার ভোলা মাছ।

Leave a Reply