দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সকালে ঈদের নামাজ ঈদের নামাজ পরতে গেলেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  আজ খুশির ঈদ। করোনার মহামারীর কারণে গত দু’বছর কোন উৎসব সেরকম ভাবে পালন করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। সংক্রমনের প্রকোপ অনেকটাই কমার ফলে সরকারি বিধি নিষেধ না থাকার কারণে ঈদ উৎসব পালন করার জন্য এবার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তবে এবার বাদ সাধল প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। গোটা চৈত্র মাস এবং বৈশাখ মাসের শুরুর দিকে সেভাবে মেলেনি দেখা কালবৈশাখীর। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালীন ফল ও সবজির হয়েছে বেশ খানিকটা ক্ষতিও। চাষীদের পড়তে হয়েছিল লোকসানের মুখে। অবশেষে সুস্থির কালবৈশাখী এলে পরে খুশি জেলা থেকে রাজ্যের সমস্ত মানুষ।

তবে বৃষ্টিতে সবথেকে প্রভাব পড়েছে এবারের ঈদে। সোমবার গভীর রাত থেকেই নদিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সেই কারণে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সকালে ঈদের নামাজ ঈদের নামাজ পরতে গেলেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা।

একই দৃশ্য দেখা গেল সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর ভাজনঘাট টুঙ্গি পঞ্চায়েতের পুটিখালী গ্রাম। সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামে প্রচুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। সীমান্ত লাগোয়া একটি স্থানে রয়েছে ঈদগাঁও। বৃষ্টির কারণে সকাল সাতটার কিছুটা আগেই সকল মুসলিম ধর্মালম্বীরা উপস্থিত হয়ে নামাজ পড়া শুরু করেন। নামাজের পর একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ঈদের উৎসবে মেতে ওঠেন টঙ্গী ভাজনঘাট পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী পুটিখালি গ্রামের বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, আজ ঈদ উৎসবের পাশাপাশি রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়াও। সকাল থেকেই বিভিন্ন দোকানে লক্ষ্মী গণেশের পুজো হয়ে থাকে এই দিন। তবে সোমবার গভীর রাত থেকেই জেলায় আকস্মিক বৃষ্টির কারণে ঈদের পাশাপাশি অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবেও পড়েছে ভাটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *