উড়িষ্যা থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ৭৫ টি হাতি নয়াগ্রামের জঙ্গলে হাজির, চিন্তায় চাষিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম:-  বোরো ধান পাকার মরসুমে উড়িষ্যা থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ৭৫ টি হাতির দল হাজির ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের জঙ্গলে। ওই ৭৫টির মধ্যে প্রায় কুড়িটি হস্তি শাবক রয়েছে বলে জানা যায় ।মাঠে বোরো ধান পেকে গিয়েছে ।এখন মাঠ থেকে বোরো ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে ।সেই সময় হাতির দল চলে আসায় নয়াগ্রামের ধান চাষীরা চিন্তায় পড়েছেন । হাতির দলটিকে নয়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা রেঞ্জ এলাকায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে বন দফতরের কর্মীরা। যদিও ওই ৭৫ টি হাতি দুটি দলে ভাগ হয়ে তপবন ও পাঁচ কাহানিয়া এলাকায় চলে এসেছে ।বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে ওই হাতির দলের উপর নজরদারি শুরু করা হয়েছে।
ওই হাতির দলটি নয়াগ্রাম হয়ে খড়গপুর লোকাল থানার জটিয়ার
জঙ্গল দিয়ে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া এলাকা হয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ও শালবনি এলাকায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই নয়াগ্রাম এর পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের ও শালবনি ব্লকের বোরো ধান চাষি দের মাঠ থেকে দ্রুত পাকা ধান বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। যাতে হাতি ঢুকে বোরো ধান চাষের ক্ষতি করতে না পারে ।তার জন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। যার ফলে বনদপ্তর এর আধিকারিকরা ও কর্মীরা ওই ৭৫টি হাতির গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করেছে ।অপরদিকে শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বালিভাসা এলাকায় ছ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দাপিয়ে বেড়ায় বারোটি দাঁতাল হাতি। যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই বারোটি হাতি বালিভাসা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে গিয়ে তাণ্ডব চালায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান । বনদফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড়শালবনি গ্রামে গিয়ে শুক্রবার প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হাতি তাণ্ডব চালায় বলে গ্রামবাসীরা জানান। সেই সঙ্গে জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে হাতির দল তান্ডব শুরু করেছে । তাই ঝাড়্গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার জেলার বাসিন্দারা হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *