সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – ২৫ শে বৈশাখ মানেই কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ। শুধুই কি তাই।তাঁর গান,কবিতা,গল্প,উপন্যাস,নাটক সর্বত্র বিচরণ। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে তাঁর অবদান সমান ভাবে উজ্জ্বল এক বিরলতম দৃষ্টান্ত।তাই তো তিনি সকলের কবিগুরু বিশ্ববরেণ্য বরীন্দ্রনাথ।
যখন ২৫ শে বৈশাখ তার জন্মদিন পালন নিয়ে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন আপামোর বাঙালি থেকে শুরু করে দেশ তথা বিশ্ববাসী। সেই মুহূর্তে এক ব্যতিক্রমী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হল। ১৬২ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ক্যানিংয়ের শরৎপল্লীর বালক সংঘ।সংঘের জন্মলগ্ন থেকেই দিবালোকের পরিবর্তে অন্ধকার জগৎ থেকে সমাজ কে আলোর পথে আনতে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে রাত্রিতেই সমস্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২৫ শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে নৈশ রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন এবং কবিগুরুর চরণ যুগলে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বালক সংঘের সভাপতি জয়ন্ত ঘোড়ুই ও সম্পাদক তন্ময় মন্ডল।এরপ ক্লাবের শিক্ষা আঙিনায় বেড়েওঠা ক্ষুঁদে প্রতিভার শিশু শিল্পীদের নাচ,গান আবৃত্তিতে পালিত হয় বরীন্দ্র জন্মজয়ন্তী।ক্লাবের সদস্যদের প্রচেষ্টায় কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরে একাধিক নাটক এদিন মঞ্চস্থ হয়। যার মধ্যে অন্যতম নাটক ছিল ‘রক্ত করবী’।
কেন এমন নৈশ্য রবীন্দ্র জয়ন্তী?এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যানিংয়ের শরৎপল্লী বালক সংঘের সভাপতি জন্তয় ঘোড়ুই জানিয়েছেন ‘অন্ধকার থেকে আলোর পথেই আসতে চায় সকলেই। সেই কাজটা আমরা আমাদের ক্লাবের মাধ্যমে করার চেষ্টা করে চলছি।রাত কেটে তো ভোরে আলো ফুটে ওঠে।তাছাড়া রবি মানেই সূর্য,যাঁর প্রখর তেজ অন্ধকার ঘুঁচিয়ে আলোর কিরণ ছড়িয়ে দেয়।সেই কারণেই শুধুমাত্র রবীন্দ্র জয়ন্তী নয়,যে কোন মহাপুরুষের জন্মদিবস কিংবা প্রয়াণ দিবস আমরা রাতেই উৎযাপন করে থাকি।
ক্যানিংয়ে নৈশ রবীন্দ্র জয়ন্তী।

Leave a Reply