পীরবাবার মাজার দেখভাল করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা ,সিন্নির আয়োজন করে হিন্দু মা বোনেরা।

0
583

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন…”হিন্দু না ওরা মুসলিম?”ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?….. সত্যিই মানুষকে ধর্মের বেড়াজালে বেঁধে রাখা যায় না। ধর্মের চেয়েও মনুষত্ব আর মানবিকতা অনেক অনেক বেশি দামি। ধর্ম যার যার, সকল মানুষ সমান। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল নজির দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শিমুলিয়া দশরথবাটি গ্রামে অবস্থিত পীর বাবার মাজার। প্রতি বৃহস্পতিবার এই মাজারে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। পীর বাবার সিন্নি ভোগ প্রসাদ পেতে এবং দিতে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে সমবেত হন। পীর বাবার কাছে মানত করেন। এদের মধ্যে হিন্দু মা বোনেদের সংখ্যা বেশি। সিন্নির আয়োজন করেন হিন্দু মা-বোনেরা। এই গ্রামে হিন্দু মুসলমানের সুসম্পর্ক চিরকালীন। সকলেই এখানে ভাই ভাই, পরমাত্মীয়ের মত… যেন একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। এটি একটি ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতবর্ষের উজ্জ্বল নিদর্শন। সারাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা গ্ৰাস করতে চলেছে সভ্যতাকে তখন যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উজ্জ্বল নিদর্শনের ধারাকে আজও উজ্জ্বল থেকে আরো উজ্জ্বলতর করে চলেছে সিমুলিয়া ও দলরথবাটি গ্ৰামের মানুষ।