সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা রাস্তা,বেহাল জলনিকাশী ব্যবস্থা।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আর শুরুতেই বৃষ্টিপাতের জেরে বাজিমাত করলো বর্ষা। প্রায় দুকিলোমিটার রাস্তা জলমগ্ন।জলনিকাশী ব্যবস্থা বেহাল হওয়ার জন্য এমনটাই হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবী।ঘটনাস্থল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের অন্তর্গত নতুন হাট থেকে মজির বাজার পর্যন্ত।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক প্রায় দুকিলোমিটার একটি ঢালাই রাস্তা তৈরী হয়েছিল বিগত প্রায় দুবছর আগে।খরচ হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকা। স্থানীয় জগোপালপুর নতুন হাট থেকে মজুর বাজার ভোলানাথ শ্মশান পযর্ন্ত
রাস্তাটি দুই কিলোমিটারের বেশী। প্রতিদিনই অসংখ্য অটো,টোটো,মোটর চালিত ইঞ্জিন ভ্যান চলাচল করে। এছাড়াও নফরগঞ্জ ও ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষজন সহ এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে।
জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে দু কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা জল জমে পরিণত হয়েছে ড্রেনে। আর তার মধ্যে দিয়েই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে রাস্তার উপরে। প্রায় হাটু সমান জলের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজনকে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ রাস্তাটি যতটা উঁচু করে তৈরি হওয়ার কথা ছিল ততটা উঁচু করে তৈরি করা হয়নি। আর তাই আশপাশের বাড়িগুলো উঁচু হয়ে থাকার জন্য সমস্ত জল রাস্তার মধ্যেই জমে যাচ্ছে। আর তাই সেই জল মাড়িয়ে এই গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হলেও তিনি এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
‌ ‌ শনিবার মরশুমের সবথেকে বড় বৃষ্টি হয় সুন্দরবন এলাকায়। আর তাতেই হাঁটু জল জমে যায় এই রাস্তায়। রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তার একাংশ। তাই অবিলম্বে গ্রামবাসীরা এই জল নিকাশীর জন্য দাবি তুলেছেন।আর তা না হলে ভরা বর্ষায় ডুবে মরতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *