সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – একটি কিংবা দুটি নয়,একই রাতে ৮ টি বাড়িতে চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ ও ১১ নম্বর আমঝাড়া গ্রাম।অন্যান্য দিনের মতো ওই গ্রামের প্রতিটি পরিবার সোমবার রাত প্রায় দশটা নাগাদ বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।সকাল হতে ঘরের দরজা খোলা দেখে আঁতকে ওঠেন। প্রথমে কোন কিছু হয়নি ভেবেই নিয়েছিলেন। এরপর মোবাইল ফোন খুঁজতেই দরজার তালা খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে নজরে পড়ে। নজরে পড়ে ঘরে মধ্যে থাকা বাক্সগুলো তে ও।বাক্স গুলো খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।প্রয়োজনীয় কাজগপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায় এক কিলোমিটারের মধ্যে ৮ টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ ঘরে দরজা ভেঙে সোনার গহনা,নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। ১১ নম্বর আমঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্তি সরদার জানিয়েছে তার ঘরের তালা ভেঙে দুটি মোবাইল ও বাক্সে রাখা নগদ বারো হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। ওই পাড়ার নমিতা সরদার,জীবন মাঝি ও রাজু মাঝির ঘর থেকে মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে। আবার রমাবতী মাঝির ঘর থেকে সোনার গহণা নগদ পাঁচ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে।
অন্যদিকে ১০ নম্বর আমঝাড়া গ্রামের বিনোদ রায়ের ঘর থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও আশীষ মন্ডলের দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ দুহাজার টাকা চোরেরা নিয়ে চম্পট দেয়।
ওই পাড়ারই দীনমজুর কল্পনা রায়। তার একমাত্র সন্তান সুরোজিত রায় স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র।পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য মোবাইল ফোন না থাকার কারণে অনলাইন ক্লাস করতে পারতো না।ধার দেনা করে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন। তার সেই মোবাইল ফোন আর নগদ পাঁচশো টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।
কিভাবে ছেলে কে পড়ালেখা শেখাবেন সেই চিন্তায় কল্পনা দেবীর রাতের ঘুম উঠে গিয়েছে।
একই রাতে ৮ টি বাড়িতে চুরি হওয়ার ঘটনাকে ডিজিটাল চুরির আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আশীষ মন্ডল।তার দাবী এলাকায় এর আগে কোন দিন চুরি হয়েছিলো কি না তা সকলের অজানা।চুরির ঘটনায় তারা আতঙ্কিত।ঘটনার বিষয়ে ১০ ও ১১ নম্বর আমঝাড়া গ্রামের বাসিন্দারা বাসন্তী থানায় মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাসন্তী থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
একই রাতে ৮ টি বাড়িতে চুরি,এলাকায় আতঙ্ক,তদন্তে পুলিশ।

Leave a Reply