আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সৌভাগ্যের পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের।সৌভাগ্যের বাবা এক মিষ্টির দোকানে কাজ করে। সৌভাগ্য দে এর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর গ্রামে। উল্লেখ্য পরিবারের অভাবের তাড়নায় ডাম্পারের সহ চালকের কাজ করত দুর্লভপুর D.T.O.A এর গাড়িতে। কিন্তু হঠাৎ একদিন ছাই ডাম্পার লোড নিয়ে গিয়ে ছোরা কলিয়ারিতে খালি করছিল, সেই সময় পাসের একটি গাড়ি খালি করতে গিয়ে তার গাড়ির কেবিনের উপর পাল্টি হয়। সেই গাড়িতে হেল্পারের কাজে নিযুক্ত ছিল সৌভাগ্য। গাড়িটি পাল্টি হওয়ার ফলে কেবিনের ভিতরে সে চাপা পড়ে, ঈশ্বরের কৃপায় প্রাণে বাঁচলেও স্পাইলাল কডে আঘাত লাগে। সেই সময় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য গেলেও সে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। বিছানায় একইভাবে রয়েছে তিন বছর ধরে। নিজের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনদের উপর সম্পুর্ন নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে আছে সৌভাগ্য। চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারের যা কিছু ছিল সব বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তাররা বলেছেন অপারেশন করলে সৌভাগ্য আবার আগের মত সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই অপারেশনের ব্যয় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। তাই তার সকল আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সাধ্যমত পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে সৌভাগ্য কাতর আবেদন করছেন সাহায্যের জন্য। আসুন না আমরা সবাই সৌভাগ্যে একটু পাশে দাঁড়ায়।
সৌভাগ্যের অপারেশনের জন্য পাশে দাঁড়ান আপনিও
Leave a Reply