করোনা সচেতন করে পূন্যার্থীদের হাতে তুলে দিলেন মাস্ক।

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং – চলছে শ্রাবণ মাস। মনস্কামনা পূর্ণ করতে তারকেশ্বরের ভীড় জমাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ পূর্নার্থীরা। তারকেশ্বরে দেবাদী দেব বাবা ভোলানাথ এর মাথায় জল ঢেলে নিজেদের মনষ্কামনা পূর্ণ করেন পুণ্যার্থীরা। মনস্কামনা পূরণ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পূন্যার্থীরা তারকেশ্বরে যাচ্ছে। তেমনই প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূন্যার্থীরা তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সোমবার ক্যানিং স্টেশনে পুণ্যার্থীদের হাতে মাস্ক সহ নানান সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিলেন ক্যানিংয়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক ফারুক আহমেদ সরদার। সেই সঙ্গে তিনি পূণ্যার্থীদের হাতে ভালোবাসার রক্ত গোলাপ তুলে দিয়ে পূণ্যার্থীদের মনস্কামনা পূরণের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। এমন অভিনব ভ্রাতৃত্ববোধের মেল বন্ধন সম্পর্কে বিশিষ্ট শিক্ষক স্বরুপ ঘোষ বলেন, ‘ সমগ্র রাজ্য সহ সমগ্র দেশের মানুষ তারকেশ্বরে আসছেন বাবার মাথায় জল ঢেলে পূণ্য অর্জনের জন্য।ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনৈক যুবক ফারুক আহমেদ সরদার পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন, কারণ বর্তমানে আবার করোনা প্রকোপ সমগ্র দেশে বাড়ছে।হিন্দু ভাইয়ের সুরক্ষায় এমন একজন মুসলীম ভাই এগিয়ে আসায় ভ্রাতৃত্ববোধ আরো দৃঢ় হলো।’
অন্যদিকে যুবক ফারুক জানিয়েছেন ‘“কবি নজরুল ইসলামের কথায় ’মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম,হিন্দু-মুসলমান’। ফলে আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। একে অপরের পরিপূরক। বর্তমানে করোনার প্রকোপ ফের দেখা দিয়েছে। আমার হিন্দু ভাইয়েরা বিপদে পড়বে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যার জন্য করোনা থেকে বাঁচতে সামান্য সুরক্ষাকবচ হিসাবে মাস্ক তুলে দিয়ে সচেতন হওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *