জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- ফ্যান চুরি হয়েছিলো আগেই, গরমে ঝলছে চলছিলো পাঠ, এবার মিড ডে মিল রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা,
অগত্যা ক্লাস করে খালি পেটে বাড়ি ফিরলো খুদে পড়ুয়ারারা ।
চুরি হয়ে গেছে স্কুলের রান্নাঘরের যাবতীয় সরঞ্জাম। তদন্তে আসেনি পুলিশ। বন্দ মিড ডে মিল। অগত্যা না খেয়ে বাড়ি ফিরলো ক্ষুদে পড়ুয়ারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোমস্তা পাড়া চন্দ্রমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই নিয়ে গত এক মাসের মধ্যে স্কুলটিতে দুবার চুরি হয়ে গেলো। ঘন ঘন চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
অভিযোগ গত ১৬ আগষ্ট রাতে স্কুলের রান্নাঘরের জানালার গ্রিল ভেঙে চোর ঢোকে। এরপর রান্নাঘরে থাকা দুটি গ্যাস সিলিন্ডার সহ রান্নার যাবতীয় জিনিসপত্র চুরি করে চম্পট দেয় চোরের দল।
বুধবার স্কুলে আসেন শিক্ষকেরা। পরিস্থিতি দেখবার পর তারা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও স্কুলে যায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের।
একইসাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ গত মাসেও স্কুলে চুরি হয়েছিল।চোরের দল স্কুলের ফ্যান সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। তারও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু আজও কিনারা হয়নি।
স্কুল পড়ুয়ারা জানালো মঙ্গলবার তাদের স্কুলের রান্নাঘরে চোর ঢুকে সবকিছু চুরি করে নিয়ে গেছে। গতকাল মনসা পূজোর জন্য স্কুল ছুটি ছিল। তাই তারা স্কুলে আসেনি। আজ স্কুলে এসেছিল। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার না থাকায় স্কুলে মিড ডে মিল রান্না হয়নি। তাই তারা না খেয়ে বাড়ি ফিরলো।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান এর আগেও চুরির ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এফ আই আর করেছি। কিন্তু আজও তার কিনারা হয়নি। গতকাল চুরির পর ফের অভিযোগ করি। কিন্তু পুলিশ এখোনও পর্যন্ত তদন্ত করতে আসেনি। স্কুলের মিড় ডে মিল রান্নার জন্য দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেই দুটি সিলিন্ডার সমেত রান্নার যাবতীয় জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। নতুন করে গ্যাসের টাকা না দিলে সিলিন্ডার পাবোনা। তাই আমরা স্কুলে রান্না করতে পারছিনা। ফলে মিড ডে মিল বন্দ।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্য মোহন রায় বলেন বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনায় ডি এস পি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Leave a Reply