সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং: – গত ১৭ আগষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তাল হয় ওঠে সমুদ্র।বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে থাকা চড়ে ধাক্কা লাগে এফবি ভাই ভাই নামে এক বাংলাদেশী ট্রলারের।আর তাতে ঘটে যায় বড়সড় বিপত্তি। ট্রলারের পাটাতন ফুটো হয়ে ট্রলারের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করে।জীবন তখন বিপন্ন।বিপদ আসন্ন বুঝেই লাইফ জ্যাকেট ও ট্রলারে থাকা অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরী করে ফেলেন ভেলা।এরপর জীবন রক্ষার তাগিদে গভীর সমুদ্র ঝাঁপিয়ে পড়েন এক দল বাংলাদেশী মৎস্যজীবী।ভেলা সম্বল করেই দুরাত কেটে যায়!প্রত্যন্ত সুন্দরবন জঙ্গল লাগোয়া কালিবাড়ি দ্বীপে আশ্রয় নেন ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী।দ্বীপে উঠতেই ভয় হয়,জলে কুমীর আর ডাঙায় বাঘ!অগত্যা নিরুপায় হয়ে সুন্দরবন জঙ্গলের গাছের উপর উঠে পড়ে ১৭ জন মৎস্যজীবী।শেষে রবিবার রাতে মৈপীঠ উপকুল থানা এলাকার মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা কাঁকড়া ধরার সময় তাদের নজরে পড়ে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের।তারা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মৈপীঠ থানায় নিয়ে আসে।মৈপীঠ থানার পুলিশ অতি তৎপরতায় বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের কে শারীরিক পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কুলতলি-জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়।চিকিৎসকদের মতে ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
অন্যদিকে দুরাত,দুদিন সমুদ্রে সাতার কেটে ১৩ জন্ মৎস্যজীবী প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের কে জীবনতলা থানার পুলিশ উদ্ধার করে।
বারুপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান জানিয়েছেন ‘মৎস্যজীবীদের কে খুব তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে’।
বাঘের ভয়,প্রাণ বাঁচাতে রাত কাটলো গাছেই।

Leave a Reply