সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বিগত বেশ কয়েক বছর ক্যানিং মহকুমায় এলাকায় পুজোর মরশুম শুরু হতো বিশ্বকর্মা পুজো থেকে।বর্তমানে সেই বিশ্বকর্মা কে পিছনে ফেলে দূরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে গণপতি বাপ্পা।ইদানিং গণেশ পুজোয় মেতে উঠেছেন ক্যানিং মহকুমা এলাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্লাব ও সাধারণ মানুষ।পাশাপাশি চলছে প্রতিযোগিতা। কে কত বড় ধরনের পূজোর আয়োজন করতে পারে। কত জৌলুস দেখাতে পারে চলছে তারই প্রতিযোগিতা।তেমনই বুধবার গণেশ পূজোর আয়োজন হয়েছিলো বিভিন্ন এলাকায়।ক্যানিংয়ের জয়দেব পল্লি গণেশ পূজো কমিটি গণেশ আরাধনায় মেতেছেন। ষষ্ঠ বর্ষের গণেশ প্রতিমা তৈরী করেছেন আক্রমণাত্মক। হাতে বাঁশের লাঠি,গলায় টাকার মালা। পূজো কমিটির সদস্যদের দাবী করোনা মহামারীর জন্য সমস্ত দিক দিয়ে পিছিয়ে আমরা তথা দেশের মানুষ। যাতে করে আগামী দিনে কোন প্রকার কোন প্রকার মহামারী বা নাশকতার সম্মূখীন হতে না হয়। পাশাপাশি গণপতি বাপ্পা যাতে সেই ঘটনা রোধ করতে পারে তারজন্য আক্রমণাত্মক ভাবে বাঁশের লাঠি হাতে ১৫ ফুটের দীর্ঘ গণেশ এর মূর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ক্যানিং ১ নম্বর দিঘীরপাড় এলাকার রবিকিরণ ১১ তম বর্ষ গণেশ প্রতিমা করেছেন ২৫ ফুট। যেখানে গণপতি বাপ্পাকে তাঁরই বাহন ইঁদুর কোলে তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।যে কোন অশুভ শক্তি কে রুখে দিতে প্রস্তুত ইঁদুর। তার পরেই তো রয়েছে স্বয়ং গণপতি বাপ্পা।এমনই ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যানিংয়ের রবিকিরণ সংঘ।
এছাড়াও ক্যানিংয়ের রবিকিরণ সংঘের গণেশ প্রতিমা ক্যানিং মহকুমার বৃহত্তম প্রতিমা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্যানিংয়ে গণেশ আরাধনা।

Leave a Reply