পুজোর আগমনী ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে চূড়ান্ত বাস্ততা চোখে পড়ল কুমোরটুলিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- ‘আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ লেগেছে।’ আর শরত মানেই মা এর আগমন, দুর্গা পুজা। বর্ষার কালো মেঘ, গম্ভীর পরিবেশ, হাঁটু জল সবকিছুকে পিছনে ফেলে কাশফুল আর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ যেন জানান দিচ্ছে মা আসছেন।হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন, তারপর আপামর বাঙালি মেতে উঠবে মা এর আগমনে, মেতে উঠবে আনন্দ উৎসবে, মেতে উঠবে নতুন নতুন সাজ পোশাকে। বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ এর মধ্যে সবথেকে বড় পার্বণ হিসাবে দুর্গা পুজার নাম ই প্রথম সারিতে। পুজোর আগমনী ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে চূড়ান্ত বাস্ততা চোখে পড়ল কুমোরটুলিতে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যে কুমোরটুলির প্রায় সকল প্রতিমা শিল্পীদের ব্যাস্ততা এখন তুঙ্গে । দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে দিনরাত চলছে কাজ। ইতিমধ্যেই প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ পযার্য়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জর কাজ। এদিকে গত দুই বছর করোনার কারণে সেভাবে ব্যস্ততা চোখে পড়েনি কুমোরটুলিতে। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই ফালাকাটার মুজনাই এলাকার মৃৎশিল্পীরা শিল্পীরা আশাবাদী, এবার তাঁরা ভালো দামের প্রতিমার বরাত পাবেন। সেই আশায় বুক বেঁধে শিল্পীরা প্রতিমা গড়ছেন।জানা গিয়েছে, ফালাকাটা ব্লকের অন্যান্য জায়গায় যেসব মৃৎশিল্পী রয়েছেন, তাঁদের চূড়ান্ত বাস্ততা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবার অর্ডার আসছে ভালোই।মৃৎশিল্পী দিলীপ পাল জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তবে এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তিনি জানান, এবার একটু ভালো রয়েছে অর্ডার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *