মাথাভাঙায় পঞ্চানন সেতুর উপর পথ বাতির দাবি বাসিন্দাদের।

মনিরুল হক, কোচবিহার: শুধু রঙ নয়, সেতুতে জ্বলে উঠুক পথ বাতি এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। ইতিমধ্যেই নীল সাদা রঙে সেজে উঠছে মাথাভাঙার মানসাই নদীর উপরে থাকা পঞ্চানন সেতু।
মাথাভাঙা শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে মানসাই নদী। মাথাভাঙা শহরের সাথে কোচবিহার দিনহাটা ফালাকাটা মহকুমা সহ বেশ এলাকার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করার জন্য এই মানসাই নদীর উপরে বানানো হয়েছিল পঞ্চানন সেতু। সেতুতে বাতিস্তম্ভ আছে। কিন্ত অকেজো হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে ব্যবস্থা থাকলেও আলো জ্বলছে না। দিনের আলো শেষে সন্ধ্যায় অন্ধকার নামলেই একমাত্র ভরসা যানবাহনের আলো।যানবাহন চলাচল না করলে সেতুটি সম্পূর্ণ অন্ধকার অবস্থা হয়ে থাকে।
এর সুযোগে একদিকে যেমন অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে, তেমনি সেতুর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ১৬ এ রাজ্য সড়কের পঞ্চানন সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে আলোর ব্যবস্থা নেই।

সূত্রের খবর, পঞ্চানন সেতুতে দীর্ঘদিন আগে বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হলেও বিদ্যুতের বিল কে মেটাবে তা নির্দিষ্ট না হওয়ায় সেতুতে আলো জ্বলেনি। ফলে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে মূল্যবান বাতিস্তম্ভগুলি নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চান, সেতুতে রঙের পাশাপাশি পূজোর আগে পুনরায় পথবাতির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

মাথাভাঙার পঞ্চানন অনুরাগী তথা কোচবিহার জেলা তৃনমুল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, মাথাভাঙার মানসাই নদীর উপড় সেতুটি মনীষী পঞ্চানন বর্মার নামাঙ্কিত । তাই ঐতিহ্যের এই সেতুটিতে বাতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । আমিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই ব্যাপারে কথা বলব । কোচবিহার জেলা পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলিতে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *