জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বুধবার রাতে মালবাজার মহকুমায় মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন ঘাটে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, কুড়ি ঘন্টা পরেও জলপাইগুড়ি জেলা সহ সমগ্র রাজ্য বাসী তাতে স্তম্ভিত, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সাধারণ মানুষ বৃহস্পতিবারেও একপ্রকার ট্রমার মধ্যে রয়েছে।
এরই মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শুক্রবার রাজ্য সরকারের নির্দেশে কার্নিভালের। ক্লাব রোডে নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী মঞ্চ,
তবে জেলার এক প্রান্তে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে কার্নিভাল এর মতো উৎসব মেনে নিতে পারছেন না, পৌর কাউন্সিলর থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।
এই কার্নিভাল বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার সাহিত্য সংস্কৃতি প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা।
এই প্রসঙ্গে সংস্কৃতি জগৎ এর অন্যতম ব্যাক্তিত্ব গৌতম গুহ রায় বলেন, জেলার এক অংশে এমন মর্মান্তিক ঘটনা, অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বহু দপ্তর আছে আগাম পূর্বাভাস দেয়, তাছাড়া অষ্টমী থেকেই বৃষ্টি চলছিলো, এর পরেও কি করে প্রশাসন নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে, অতীতে এমন একটি কালো ইতিহাস এর স্মরণ করে সাংস্কৃতিক কর্মী, লেখক গৌতম বাবু বলেন, ১৯৬৮ সালে তিস্তার জল বাড়ছে সেই সতর্কতা যাদের কাছে ছিলো, তারা সেটি জলপাইগুড়ি শহরবাসীকে না জানিয়ে শিলিগুড়ি চলে গিয়েছিলো, যার প্রতিদানে হাজার হাজার মানুষকে ১৯৬৮ সালের ৪ ঠা অক্টোবর তিস্তার বন্যায় মরতে হয়েছিলো।
অপরদিকে কার্নিভালে আমন্ত্রিত জেলা কংগ্রেস নেতা তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর অম্লান মুন্সী ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের কাছে ই মেলে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, এমন বেদনাদায়ক অবস্থায় শুক্রবারের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
মাল নদীর বিসর্জন ঘাটে মর্মান্তিক ঘটনা, কার্নিভাল স্থগিত করার দাবী উঠলো জলপাইগুড়িতে।

Leave a Reply