ছটপুজোয় মাতলেন দুবরাজপুরবাসী।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- বাঙালির যেমন দুর্গাপুজো, বিহার আর ঝাড়খণ্ডের মানুষেরও তেমন ছটপুজো। দুর্গাপুজো শেষ হলে দীপাবলি, আর দীপাবলি শেষ হলেই ছটপুজো। এই উৎসব মূলত বিহার ও উত্তর প্রদেশে পালিত হয়। এখন কিন্তু ছট পুজো উদযাপন শুধু বিহারি সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছেন। ছট মানে ‘ছট মাইয়া’। এটা সূর্যের আরেক নাম। সূর্যকেই পুজো করা হয় ছটপুজোয়। কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে হয় ছট পুজো৷ ছট পুজো হল আদতে সূর্য এবং তাঁর পত্নী ঊষা ও প্রত্যুষার পুজো। মোট চার দিন ধরে চলে এই পুজো। পারিবারিক সুখ সমৃদ্ধির জন্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই ব্রত পালন করেন। তাই আজ ভোরবেলায় বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রেওয়ানীপাড়ার নায়েক পুকুরে ছটপুজো উপলক্ষে পুজো দেওয়ার চিত্র ধরা পড়ল। জানা যায়, দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত চারটি পুকুরে ছটপুজো করা হয়। যেমন সাতকেন্দুরির একটি পুকুর, রঞ্জনবাজারে দুধ পুকুর, লায়েক পাড়ার বাঁধা পুকুর ও রেওয়ানীপাড়ার নায়েক পুকুর। এই চারটি পুকুরের মধ্যে নায়েক পুকুরে সবথেকে বেশী ভীড় হয়। কারন দুবরাজপুরে বহু হিন্দীভাষী মানুষের বসবাস। তাছাড়াও এই পুজো উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে হয়ে থাকে বলে জানালেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পান্ডে। তিনি আরও জানান, পুকুর সংস্কার, রাস্তা ঘাট পরিষ্কার এমনকী আলোকসজ্জা দুবরাজপুর পৌরসভার উদ্যোগে করে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সাগর কুন্ডু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অর্জুন চৌধুরী, দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বরুপ আচার্য সহ আরও অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *