বর্ধমানের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় মধ্যে অন্যতম হল বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল, কিন্তু প্রাচীন বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা।

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- শহর বর্ধমানের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় মধ্যে অন্যতম হল বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল। 1817 খ্রিস্টাব্দে ৬ই জানুয়ারি পথ চলা শুরু করেছিল বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল। পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রাচীনতম স্কুলের মধ্যে অন্যতম এই স্কুল। স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বস, বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত এই বিদ্যালয়ে পা রেখেছিলেন। স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এসেছিলেন এই বিদ্যালয়ে । এই বিদ্যালয়ের মাঠে বক্তব্য রেখে গেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
আজ এই প্রাচীন বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে জানিয়েছে মেলেনি কোন সুরাহা। বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুলের
প্রধান শিক্ষক বলেন, বিধায়ক খোকন দাস কে আমি জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন তার বিধায়ক ফান্ড থেকে দশ লক্ষ টাকা দিতে তিনি রাজি আছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরো বলেছেন, এই প্রাচীন ঐতিহ্য বিদ্যালয়টিকে যদি সংস্কার করে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয় সারা বাংলার বুকে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল। বিদ্যালয়টি যদি হঠাৎ করে ভেঙ্গে যায় তাহলে তার দায়িত্ব কেউ নেবে না। বহু মায়ের কোল খালি হবে। বিদ্যালয় এইরকম ভগ্নপ্রায় অবস্থায় চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। এই বিদ্যালয়ে আগে ছাত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০০-১৮০০ এখন সে সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৭০০কাছাকাছি।যদি বিদ্যালয়কে সংস্কার করা হয় ছাত্রের সংখ্যা আবারও বাড়বে।অভিভাবকদের আতঙ্ক কেটে যাবে।এখন দেখার বিষয়, কবেই বা এই বিদ্যালয়ের সংস্কারের কাজে হাত দেয় রাজ্য সরকার।সেদিকেই তাকিয়ে রইল আপামর বর্ধমানবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *