ক্রমশই মৃত্যুর পথে এগিয়ে চলেছে জলপাইগুড়ির মা করলা, উদ্বিগ্ন সবাই তবুও ফিরছে না হাল।

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- নাম করলা নদী, উৎস সন্ন্যাসী বিদ্রোহের দুই কান্ডারি দেবী চৌধুরানী আর ভবানী পাঠকের গোপন আস্থানা বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল।

তবে শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা এই নদীর আরেকটি নাম রয়েছে শহরবাসির কাছে ‘ জলপাইগুড়ির টেমস ‘।
বর্তমানে স্থানীয় এই টেমস বা করলা ই হচ্ছে দেড়শো বছর পুরোনো জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নানান দূষণের শিকার এক মাত্র নদী।
দূষণ রোধ করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাও নয়, শোনা যায়
সৌন্দরযায়ন এর জন্য রাজ্যে সরকার ১২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলো একসময়,
কখনো আবার পৌরসভা নদীর জল শোধনের জন্য গাটিখানেক টাকা ব্যায় করে বেশ কয়েকটি পিউরিফায়ার সিস্টেম বসিয়ে ছিলো, সে গুলোও আজ ছবি হয়ে দাড়িয়ে আছে মাত্র। মাঝে মধ্যে দেখা যায় করলা আমার মা, এই বার্তা দিয়ে নদীর পাড়ে করলা মায়ের পুজো, সবই হয় কিন্তু তবুও কোনো ভাবেই করলা নদীর জলে ভেসে যাওয়া অদৃশ্য দূষণ কমে না।
যদিও এই করলা নদীই আজও বহু মানুষের জীবিকার একমাত্র সম্বল, যদিও দূষণের করাল থাবায় ইতিমধ্যেই করলা নদীর পরিবার থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বহু প্রজাতির মাছ।
তবুও যে পেট মানে না ক্ষুদার জ্বালা, তাই আজও দূষিত, মৃতপ্রায় করলার বুকে জাল ফেলে নৌকো ভাসিয়ে চলে ক্ষুদার বিরুদ্ধে আরেক বিদ্রোহ।

যদিও এই নদীর দূষণ নিয়ে সোচ্চার অনেকেই, এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর মনিন্দ্র নাথ বর্মন, জানান, এটা ঠিক আমাদের সবার চোখের সামনে জলপাইগুড়ির ফুসফুস ক্রমশ দূষণের শিকার হয়ে চলেছে,
তিনি এই বিষয়ে বিশেষ করে নদীর দু পাড়ে বসবাসকারী নাগরিকদের আরো সচেতন হতে আবেদন করার পাশাপাশি পৌরসভা দারা নদীর দূষণ রোধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে ছিলো সেটি কেনো বন্ধ তার খোঁজ খবর নেবেন বলেও জানান।
অপরদিকে শহরের আরেক ভূমিপুত্র এবং জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের অন্যতম ব্যাক্তিত্ব ডঃ রাজা রাউত, এই বিষয়ে বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে চলেছে লাগাতার, তবে জলপাইগুড়ি শহরের প্রাণ এই করলা নদীকে যে করেই হোক রক্ষা করতে হবে না হলে তার প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জলপাইগুড়িবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *