অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলো জেলা সভাপতি।

মারিশদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁথি প্রভাত কুমার মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় থেকে দলের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি গ্রামবাসীদের পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। অবিলম্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির কাছে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ১২ ঘন্টা কম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিলো জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কাঁথি ৩ ব্লকের বিডিও অফিসে সমস্ত প্রধান, উপপ্রধান অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে মিটিং করেন জেলা সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি। এরপর বন্দোপাধ্যায় অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র নাম ধরেই কাজকর্মের ক্ষোপ প্রকাশ করেছিলেন। জেলা সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। পাশাপাশি প্রধান ঝুনু মণ্ডল ও উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল পদত্যাগপত্র জমা দেন। যদি রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিডিও জমা দেয়নি। আগামীকাল সোমবার বিডিও নেহাল আহমেদ কাছে প্রধান ও উপ প্রধানের ইস্তফাপত্র জমা দেবেন। এই ঘটনার পর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কার্যত ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রকাশে কিছু মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি।

জানাগেছে, কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক বাড়িতে ঢুকে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রামবাসীরা জানান বাড়ির কথা বললেও প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি কোনো সহযোগিতা করছে না। মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনজনের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগের দাবি জানান। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্যই অবিলম্বে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতিকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়ার পর তোড়জোড় শুরু করে জেলা উচ্চতর নেতৃত্বরা।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন ” দলীয় নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ আমরা মেনে চলবো। সকল প্রধান উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে বসেছিলাম। আজকে রবিবার তাই প্রধান উপপ্রধান পদত্যাগ করতে পারলেন না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হয়, তাদেরকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করুন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে “।

মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমু মণ্ডল বলেন ” এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। আমি অসুস্থ হয়েছি। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। সবাই মিলে বসে ছিলাম। এখন বেশি কিছু বলবো না “।

বহিস্কৃত অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র বলেন ” আমরা তৃণমূলের একটা পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে আমরা তৃনমূল করছি। যখন বিধানসভা নির্বাচনে গেল গেল রব উঠেছিল, তখন থেকে আমি দলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। দলের উচ্চতর নেতৃত্ব মনে করেছেন তাই পদত্যাগপত্র জমা দিলাম। তৃণমূলের সৈনিক হিসেবে আগামী দিনে কাজ করবো। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাংলায় উন্নয়ন ভাবা যায় না “।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *