পূর্ব বর্ধমান, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আমাদের বাংলার মধ্যেই আমরা বারবার সম্প্রীতির এক অনন্য নজির দেখতে পাই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান তা আমরা বাংলার মধ্যেই খুঁজে পাই। সেই রকমই আর এক নজির বর্ধমান শহরে একই ছাদের তলায় হিন্দু মুসলমান ১০১ টি পাত্র-পাত্রীর ঐতিহাসিক গণবিবাহ। যার প্রধান উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বর্ধমান শহরে বুকে তিনি বারবার ব্রতি হয়েছেন সমাজ কল্যাণে। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে বর্ধমান শহরের রথতলা কাঞ্চননগরের মা কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরের গণবিবাহের আসর। শুধুমাত্র ১০১ জন পাত্র পাত্রীর বিবাহের অনুষ্ঠানই নয় বাড়িতে ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস দেওয়া হয় গণবিবাহের আসর থেকে। প্রতি বছর এই গণবিবাহে অনুষ্ঠানে এক সম্প্রীতির নজির দেখে বর্ধমান শহর। সকালবেলা থেকেই আজ ছিল সাড়ে সজো রব। সকালবেলা কন্যা সম্প্রদান করেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও তার সহধর্মিনী বর্ধমান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী দাস।

আজ এই মহতী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো,কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহা, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত কুমার মাল, পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সম্পা ধারা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেব টুডু, বর্ধমান পৌরসভার পরেশ চন্দ্র সরকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply