প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রুপ ডি কর্মচারীর
নাম থাকলেও নাম নেই‌ গোটা গ্রামের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রুপ ডি কর্মচারীর
নাম থাকলেও নাম নেই‌ গোটা গ্রামের।এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি এলাকাবাসীর।কারও কুঁড়েঘর ভেঙে পড়েছে তো কারও দেওয়ালে ধরেছে ফাটল।কেউবা পলিথিন টাঙিয়ে জরাজীর্ণ কাচা বাড়িতে দিন গুজরান করছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের অধিকাংশই বাড়িগুলি টিন ও টালির ছাউনি দেওয়া।দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেন।তবুও নজর নেই পঞ্চায়েত প্রধান ও প্রশাসনের।চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতিতে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশলপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার।গ্রামবাসীদের অভিযোগ,কুশলপুর,কুশডাঙ্গি,
গাঙ্গর ও আলিপুরের পূর্ব অংশ মিলিয়ে একটি বুথ।এখানে প্রায় ছয় শতাধিক পরিবারের বসবাস।২০১৮ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিও ট্যাকিং হলেও আবাস যোজনা তালিকা থেকে উধাও গোটা গ্রাম।সদ্য প্রকাশিত তালিকায় গাঙ্গর গ্রামের ২৯ টা নামের মধ্যে রয়েছে তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অঙ্গদ মিশর ও একজন গ্ৰুপ ডি কর্মচারীর নাম।এছাড়াও যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে,বাইক রয়েছে ও জমি রয়েছে তাদের নাম রয়েছে।সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য একাধিকবার তাঁরা দরবার করেছে পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসনের কাছে।কিন্তু,কোনও লাভ হয়নি।এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দেন তারা।

পঞ্চায়েত সদস্য অঙ্গদ মিশর জানান, তালিকায় তার নাম থাকলেও সে নিজেই নামটি বাদ দিয়ে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *