মা বলে ডেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অভিনব কৌশলে ছিনতাই বাংলাদেশিও এক মহিলার কাছ থেকে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাংলাদেশের এক মহিলার কাছ থেকে অভিনব কৌশলে ছিনতাই। মা বলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নগদ অর্থ সহ সমস্ত কিছু লুটপাট। সর্বস্ব খোয়া যাওয়াতে দেশে ফিরবেন কিভাবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশীও ওই মহিলা। বাংলাদেশের দর্শনা থানা এলাকার মদনা গ্রামের বছর ৬৫টির মহিলা হাওয়া খাতুন নিজের চিকিৎসার জন্য এদিন বনগাঁ বর্ডার ক্রস করে রানাঘাট স্টেশনে আসেন কৃষ্ণনগরে তাঁর আত্মীয় বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। হঠাৎই রানাঘাট স্টেশনে ওই মহিলাকে দুই যুবক জিজ্ঞাসা করে মা আপনি কোথায় যাবেন, চলুন আমরা আপনাকে আপনার আত্মীয়র বাড়ি পৌঁছে দেব। এই বলে রানাঘাট স্টেশন থেকে ওই মহিলাকে ট্রেনে তোলে ওই দুই যুবক। এরপর মহিলার কাছ থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে এক যুবক অন্য বগিতে চলে যায়, অন্য আরেক যুবক মহিলার কাছেই বসে থাকে। রানাঘাট থেকে ট্রেন ছেড়ে কালীনারায়নপুর পৌছাতেই দুই যুবক ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। মহিলার সন্দেহ হওয়াতে মহিলাও ট্রেন থেকে নেমে ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসা করে আমার ব্যাগ কোথায় গেল। যদিও যুবকেরা আশ্বস্ত করে ব্যাগ আমাদের কাছেই আছে আপনার চিন্তা নেই। এরপর অধিক রাত হয়ে যাওয়াতে ওই মহিলাকে ওই দুই যুবক নিয়ে আসে শান্তিপুর কারিকর পাড়ার বাড়িতে। মহিলাকে যত্ন সহকারে রাতের খাবারের কথা বলে মহিদুল নামে এক যুবক, এরপর সকাল হতেই ওই মহিলা কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে দেখে তার যেই ব্যাগে টাকা ছিল এবং বাংলাদেশের কিছু দামি শাড়ি ছিল সেগুলি কিছুই নেই। মইদুল নামে ওই যুবককে ফোন করলে ওই যুবক সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। বাংলাদেশীয় ওই মহিলার দাবি, তার ব্যাগে নগদ কুড়ি হাজার টাকা ও বাংলাদেশের কিছু দামি শাড়ি ছিল। সেগুলি ছিনতাই করে তার ব্যাগের মধ্যে কিছু পুরনো জামা কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এরপরেই মাথায় হাত পড়ে যায় মহিলা হাওয়া খাতুনের। অবশেষে নিরুপায় হয়ে পুনরায় ছুটে আসে শান্তিপুরে, এরপর শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মহিলা হওয়া খাতুন। যদিও কারিকর পাড়ার বেশ কয়েকজন মহিলা বাংলাদেশীয় ওই মহিলাকে থানায় আসতে সাহায্য করে। তাদের মুখ থেকেই জানা যায় মহিদুল নামে ওই যুবক চক্রান্ত করেই এই ছিনতাই এর ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও ওই বাংলাদেশীয় মহিলা এখন দেশে কিভাবে ফিরবেন তাই নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায়। তবে তার সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন পরিবারকে। এখন দেখার মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *