বালুরঘাটে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে তৃনমুল ও সেই দলের নেত্রীকে এই ভাবে কড়া ভাষায় আক্রমন করলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ- যারা একদিন সি এ এ এর ভয়ে নেত্রীর পেছনে ছিল তারাও সরে পড়েছে। এখন শুধু মাত্র নেত্রীর পেছনে আছে পুলিশ। সেই পুলিশ দিয়েই দল চালাচ্ছেন নেত্রী। যেদিন পুলিশ ও সরে যাবে সেদিন নেত্রীর তোলামুল দলটাই উঠে যাবে এই রাজ্য থেকে। আজ বালুরঘাটে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে তৃনমুল ও সেই দলের নেত্রীকে এই ভাবে কড়া ভাষায় আক্রমন করলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ও তার গরিবদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়সি প্রশংসা করে শুভেন্দু বাবু তৃনমুলের হাত থেকে রাজ্যকে বাচানো ডাক দেন আগামী পঞ্চায়েত ও ২৪ এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় নিয়ে আসবার কথা বলে।শুভেন্দু বাবুর দাবি বাংলাকে নতুন ভাবে গড়ে তুলবার জন্য এই রাজ্যেও চাই উত্তরপ্রদেশ ও অসমের মত ডবল ইঞ্জিন সরকার।

তিনি আরো অভিযোগ জানিয়ে বলেন আগের বারে রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত ভোট লুট করে বিজেপিকে কয়েকটি জেলা পরিষদ হাত ছাড়া করে ছিল তৃনমুল। এবার সেদিকে লক্ষ রেখে কোমর বেধে ভোটে লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি।

পাশাপাশি আবাস যোজনা বাড়ি চুরি চাকরি চুরি নিয়েও সরব হওয়ার পাশাপাশি তিনি এই চোরেদের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে হারানোর ডাক দেন এদিনের এই সমাবেশ থেকে।

রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এর পাশাপাশি আরো অভিযোগ করে বলেন আজকাল পাঠ্য বইয়ে দেশ ও রাজ্যের মনিষিদের নাম খুজে পাবেন না অথচ নেত্রী ও চোর পার্থর নাম খুজে পাবেন। সবেতেই এভাবে রাজনীতিকরন করেছে এই তৃনমুল সরকার বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন কেবল তো ৩৭ হাজার চাকরি চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। সবে তো সন্ধ্যে, দেখবেন ধিরে ধিরে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় কেউ জানে না। আর এই চাকরি চুরির কথা বলতে গিয়ে তিনি বালুরঘাটের পুরসভার এক তৃনমুল কাউন্সিলররের নাম বাতিল তালিকায় রয়েছে বলে আজকের সভায় জানাতে ভোলেন নি।
এছাড়াও আজকের সভায় শুভেন্দু বাবু সি এ এ এর সমর্থনের পাশাপাশি লাভ জেহাদ ও ধর্মান্তকরনের বিরুদ্ধে আইন লাঘু করার দাবিতে সরব হন।

আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্যের দুই হেভীওয়েট বিরোধী নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিকে ঘিরে সকাল থেকেই বালুরঘাটে লোকে লোকারন্য। সমাবেশের চারিদিকে শুধু কালো মাথা আর কালো মাথা।

শুভেন্দু অধিকারী আজকের এই সমাবেশে আরো বলেন ১১ সালে রাজ্যে হেরে গিয়ে ধুকপুক করছিল বাম। আর এখন তো তারা রাজ্য থেকে উড়েই গেছে। তারা এক সময়ে রাজ্যে ১ কোটি বেকার সৃষ্টি করে গেছে। আর এই তোলামুল নেত্রীর রাজ্যে চাকরি নেই, আজ রাজ্যে ২ কোটি বেকার সৃষ্টি করেছেন তৃনমুল নেত্রী, বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এরপরে সভায় বলতে ওঠেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুভেন্দু বাবু যেখানে শেষ করেছিলেন, সুকান্ত মজুমদার যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। তৃনমুলকে আক্রমনের পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার প্রয়োজনিয়তার কথা দিয়েই আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে কর্মীদের লড়াই করার কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *