আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বউ ধান ভানেরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া,ঢেঁকি নাচে বউ নাচে হেলিয়া দুলিয়া।মানুষের পৌষ পার্বণে একমাত্র ভরসা ছিল কাঠের ঢেঁকি।অনেক আগে গ্ৰামে গ্ৰামে বাড়িতে বাড়িতে কান পাতলেই ভেসে আসতো ঢেঁকিতে চাল কোটার শব্দ।ঢেঁকির শব্দে মুখরিত হত এপাড়া ওপাড়া।সে সব এখন অতীত। কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে।বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের এক প্রত্যন্ত গ্ৰাম গোবিন্দপুর।আর কয়েকটা দিন পর পৌষ পার্বণ।এখন থেকেই বাড়ির মহিলারা ব্যস্ত ঢেকিতে চাল কোটার কাজে। কাঠের তৈরি ঢেঁকি গ্ৰাম বাংলা থেকে এখনও একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।তাই গোবিন্দপুর গ্রামের রাস্তার পাশে খামারে দেখা গেল ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো তৈরির কাজ। যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ঢেঁকির কদর আর নেই বললেই চলে।
যন্ত্রের যুগেও গ্ৰাম বাংলায় আজও অনবদ্য কাঠের ঢেঁকি।

Leave a Reply