রায়গঞ্জ, রাধারানী হালদারঃ-টোটোর দাপটে অতিষ্ঠ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জবাসী। বর্তমানে শহরে কয়েক হাজার টোটো চলাচল করে। নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড না থাকায় ফুটপাত দখল করেই প্রচুর টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রী ওঠা নামাও করে রাস্তা দখল করে। ফলে বাধ্য হয়ে পথ চলতি মানুষকে ফুটপাত থেকে নেমে আসতে হচ্ছে রাস্তার উপর। এতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটে। শহরবাসীকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে তাই উদ্যোগী হয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভা এবং মহকুমা প্রশাসন। এই উদ্দেশ্যে মহকুমা শাসকের দপ্তরে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পৌরসভা মহকুমা প্রশাসন পুলিশ ও পূর্ত দপ্তরে আধিকারিকদের পাশাপাশি বৈঠকে ব্যবসায় সমিতির প্রতিনিধীরাও যোগ দেন। মহকুমা শাসক কিংশু মাইতি বলেন আমাদের এখানে প্রচুর টোটো চলছে। যদিও সেগুলো অবৈধ। কিন্তু ই রিক্সা বৈধ। তাই আমরা চাইবো ই রিক্সা চলুক। রায়গঞ্জ শহরের 997 টি টোটো রয়েছে। বাকিগুলো গ্রাম থেকে আসছে। আগামীতে শহরের টোটো বা ই রিকশা গুলিকে নির্দিষ্ট রং দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। এছাড়াও মালিকের ফোন নম্বর লেখা থাকবে। আগামী সপ্তাহে তাদের নিয়ে মিটিং করা হবে। ব্লক এলাকাগুলির টোটো বা ই রিক্সা যাতে শহরে না ঢুকে সেজন্য নোটিশ করা হবে এবং নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে তবে সেই টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারপারসন সন্দীপ বিশ্বাস বলেন আজ আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী আট ও নয় ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ বিধান মঞ্চে শহরের টোটো চালকদের নিয়ে মিটিং করা হবে।। ৮ তারিখ ১ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এবং ৯ তারিখ এ ১৩ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের টোটো চালকদের নিয়ে মিটিং করা হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। টোটো চালকদের সচেতন করা হবে সেখানে। যাদের টোটো রয়েছে তারা যাতে সেটির বদলে রিক্সা কেনেন সে বিষয়টিও বলা হবে।পৌরসভার এখনো উদ্যোগে খুশি শহরবাসী। রায়গঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তি গৌড় শংকর মিত্রের কথায় রায়গঞ্জ শহরের তীব্র যানজটের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষ নাকাল হচ্ছেন সঠিক সময় কেউ সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। প্রশাসন ও পৌরসভা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতুল বন্ধু লাহিড়ী বলেন আমরা যানজট মুক্ত শহর চাই। এক্ষেত্রে আমরা পৌরসভা ও প্রশাসনকে সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করব।
রায়গঞ্জ শহরে যানজট মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিল রায়গজ পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন।

Leave a Reply