দিদির দূতকে কাছে না পেয়ে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- দিদির দূত হয়ে গ্রামে এলেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের সাথে কথা না বলেই চলে গেলেন বর্ধমানের জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর পঞ্চায়েতের জালালপুর গ্রামে। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, নেতা সকলেই মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন এবং তাঁদের সমস্যার কথা শুনছেন। কার কী অসুবিধা বা যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধা পাননি তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে তাঁদেরকে মানুষের দুয়ারে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু আজ দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর পঞ্চায়েতের জালালপুর গ্রামে এক অন্য চিত্র ধরা পড়ল। গ্রামের মহিলারা দাঁড়িয়ে রইলেন তাঁদের সমস্যার কথা বলার জন্য। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু গ্রামবাসীদের সাথে কথা না বলেই চলে গেলেন বলে অভিযোগ করেন ঐ গ্রামের বাসিন্দা হাজেরা বিবি। তিনি জানিয়েছেন, আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত আবাস যোজনার বাড়ি পাইনি। কিন্তু এলাকার নেতারা এক একজন দু’তিনটে বাড়ি নিয়ে বসে আছে। আমরাও তো তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দি। আমাদের বাড়িতে ৬ জন ভোটার তবুও আমরা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে দেবু টুডু জানান, আমি এখানে দিদির দূত হয়ে এসেছি। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি। কারোর কোনো সমস্যা নেই। তবে শুধু রাস্তার জন্য কয়েকজন বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন দুয়ারে সরকার করেছেন। তেমনি নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদদের মানুষের দুয়ারে পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য। পাশাপাশি আবাস যোজনায় তৃণমূল নেতাদের বিরূদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি জানান, আমাদের দলে এরকম হয় না। এটা উত্তর প্রদেশে হয়। সেখানে লুঠপাটও করা হয়। আমাদের দল থেকে এখন বিজেপিতে গিয়েছেন একজন ডাকাত তাঁরাই চুরি করেন। এখানে কিছু না পেলে আপনি বলতে পারবেন। কিন্তু উত্তর প্রদেশ হলে আপনার গলা কেটে দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *