গাঁজার প্যাকেটের ভিতর মিলল হ্যান্ড গ্রেনেডে, কোচবিহার আদালতে গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর জোয়ানরা,তদন্তে পুলিশ।


কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: গাঁজার প্যাকেটের ভিতর মিলল হ্যান্ড গ্রেনেডে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা কোচবিহারে। পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা গাঁজার প্যাকেটে হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রবিবার আদালত চত্বরে থাকা একটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। এদিন বোমা নিষ্ক্রিয় করার আগে গোটা সাগরদিঘি চত্বর ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,আদালতের মালখানায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে পড়ে থাকা গাঁজার বিভিন্ন প্যাকেটে তিনদিন আগে সেই গ্রেনেড লক্ষ্য করে পুলিশ। সেটি গ্রেনেড বুঝতে পেরে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনিকে খবর দেন। এরপর এদিন বিন্নাগুড়ি থেকে সেনার ১০-১৫ জন সদস্যের একটি দল এসে আদালতের ওই ঘরেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করে। যদিও নিষ্ক্রিয় করার সময় ওই আদালতের মালখনার ঘরের কোনও ঘরের ক্ষতি হয়নি।

সূত্রের খবর, হ্যান্ড গ্রেনেডটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গান অ্যান্ড সেল ফ্যাক্টরিতেই তৈরি। সরকারি অস্ত্রাগারে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড এভাবে বেআইনি গাঁজার বস্তায় মেলায় উঠছে নানা প্রশ্ন। এভাবে কী তাহলে গ্রেনেডটিকে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সেনাবাহিনীকেও বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার জেলা অতিরিক্ত সুপার সুপার কুমার সানি রাজ জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার আদালতের মালখানা ঘর সাফাই করতে গিয়ে ওই গ্রেনেড দেখেন কর্মীরা। তারপর সেই সময় আলিপুরদুয়ার বোমা নিষ্ক্রিয় আধিকারিকদের সাথে কথা বলা হয়। তারা জানান এটা আর্মিদের গ্রেনেড রয়েছে। তারা ছাড়া সেটা করা সম্ভব নয়। পরে আমরা জলপাই গুড়ির আধিকারিকদের সাথে কথা বলি তারা তিনি জানান ওই গ্রেনেড সরানো যাবে না। সেটা সেখানে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। তারপর বিন্নাগুড়ি ক্যাম্প থেকে ভারতীয় সেনার ৭-৮ জন সদস্যের একটি দল আজ সকালে আদালতের ওই মালখানার ঘরে আসেন। ওই ঘরেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই গ্রেনেডটি কে নিষ্ক্রিয় করে। যদিও নিষ্ক্রিয় করার সময় ওই আদালতের মালখনার ঘরের কোনও ঘরের ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *