সেঁজুতি সংস্থার উদ্যোগে বিজয়িনী নাট্য সমারোহ।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- শোভা সেন-শাঁওলী মিত্রের নাট‍্যসংস্কৃতিপুষ্ট আমাদের মঞ্চের ইতিহাস। কৃষ্টির নানা শাখার মতন নাট‍্যকলাতেও নারী কেন পিছিয়ে থাকবে? তাই বীরভূমের বুকে তথা দুবরাজপুরেও সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত সেঁজুতি সংস্থার উদ‍্যোগে নাট‍্য সমারোহের সূচনা হল আজ। সেঁজুতি সংস্থার আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ‘বিজয়িনী নাট্য সমারোহ উৎসব’ এর উদ্বোধন করা হয় দুবরাজপুরের অগ্রদূত ক্লাবের মঞ্চে। এই নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সদস্য বিজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। বিজয়িনী নাট্য সমারোহ উৎসব দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। তিনি ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, কাউন্সিলার বনমালী ঘোষ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবী স্বরুপ আচার্য, ইউথ কর্ণার ক্লাবের সম্পাদক সোমেশ প্রসন্ন আচার্য সহ বিশিষ্টজনেরা। সেঁজুতি সংস্থার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান মঞ্চে এদিন “সেঁজুতি স্মারক সম্মাননা-২০২৩” প্রদান করা হয়। “আননায়ুধ” পত্রিকার সম্পাদক স্বপন কুমার রায় এর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক সম্মাননা। পাশাপাশি বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর কর্ণধার উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সিউড়ি সেহাড়া পাড়া চেতনা নাট্য ও নৃত্যগোষ্ঠীর পান্না বেগমের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। তিন দিনের এই নাট্য উৎসবে বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর, সাঁইথিয়া সহ ভিন জেলা মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, কলকাতা থেকেও বিশিষ্ট নাট্যগোষ্ঠীর মোট ১০ টি নাটক মঞ্চস্থ হবে বলে জানান সেঁজুতি সংস্থার সম্পাদিকা সুমনা চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *