আশা করছি রাজ্যপালের পদক্ষেপের পর দোষীরা দ্রুত গ্রেফতার হবে : সুকান্ত মজুমদার ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ – রাজ্যে প্রশাসনের ভার যে হেতু রাজ্যের হাতে স্বাভাবিক ভাবে রাজ্যপালকে তাই নিজে না করে রাজ্য প্রশাসনের উপর নির্ভর করতে হয়। আশা করছি রাজ্যপালের পদক্ষেপের পর দোষীরা দ্রুত গ্রেফতার হবে। হাওড়ার শিবপুরে রামনবমীর মিছিল ঘিরে হিংসার ঘটনায় রাজ্যপালের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বালুরঘাটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই কথা বলেন। পাশাপাশি রাজ্য এই ঘটনায় সি আই ডির হাতে তদন্তের ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি জানান সি আই ডি কেমন তা রাজ্যবাসি জানেন, ,এব্যাপারে তার আরো মন্তব্য বিজেপি তো কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি জানিয়েছে আগেই এবং তাই ই চাইবে। কিন্তু এই ঘটনায় আক্রান্তরা কোন তদন্তকারি সংস্থ্যাকে চাইছে তা আগে জানা হোক তারপর এই ঘটনার তদন্ত করা হোক বলে তিনি দাবি করেন।পাশাপাশি তার দাবি তিনি বালুরঘাট থেকে আজ ফিরে গিয়ে কাল কলকাতায় পৌছে হাওড়ার উপদ্রুত এলাকায় আক্রান্তদের পাশে গিয়ে দাড়াবেন। তাদের খোজখবর নেবেন।

এছাড়াও গতকাল তিলজলার পর আজ গাজোলে ফের জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে যে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে সে ঘটনার নিন্দা করে তিনি জানান এখানে নাবালিকারা নির্যাতিতা হচ্ছে আর তার পরেও চুপ করে বসে আছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। ঘটনার পর এতগুলো দিন কেটে গেলেও তারা ঘটনাস্থলে যায় নি। যখন খবর পেয়ে জাতীয় কমিশন দল এল। তখন তারা ছুটে গেল। আসলে এই কমিশন চলে মমতা আর অভিষেকের অংগুলি হেলনে। তাই তারা তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে বসেছিল এতদিন। আর গতকাল যে ঘটনা কেন্দ্রীয় দলের সাথে পুলিশের ও সি ঘটিয়েছে তাকে কেন বরখাস্ত না করে ছুটিতে পাঠানো হলো, এই প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। আসলে সবটাই রাজনীতি করার জন্য করা হচ্ছে এই রাজ্যে।

হাই কোর্টের নির্দেশে, সিভিকদের তোলাবাজির দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করবে সি আই ডি, এই প্রসংগে সুকান্তর সরস মন্তব্য চোরেদের দিয়েই চোরেদের তদন্ত কি সম্ভব। সিভিক রাও যেমন পুলিশের অংগ তেমনি সি আই ডিও তো পুলিশের একটা অংশ। সে ক্ষেত্রে কেমন তদন্ত হবে সে তো বোঝাই যাচ্ছে।সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে।
অপরদিকে আজ থেকে রাজ্যে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার নিয়ে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, একে দুয়ারে সরকার না বলে দুয়ারে তৃনমুল বলাই ঠিক। এখানে বিডিওরাও বুকে তৃনমুলের ব্যাজ পড়ে হাজির থাকুন। কে বাধা দিচ্ছে এই রাজ্যে বলে মন্তব্য করেন।

অয়ন শীলের ১০০ কোটি টাকার হদিস নিয়ে সুকান্তর বক্তব্য ১০০ কোটি আর এ।অন কি এই রাজ্যে তো সবই অনুপ্রেরনায় চলে এটাই সে রকম এক অনুপ্রেরনা, তবে তুলনায় কম।
অভিষেকের দিল্লি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, দিল্লি আসুন সংসদে এলাকার অভাব নিয়ে বক্তব্য রাখুন, ভয় কিসের সি বি আই আগে কাগজ ধরায় তারপর ধাপ্পা দেয়, তাই ভয় না পেয়ে দিল্লি আসুন কেউ কোন মানা করে নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *