নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:–-গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের আগেই প্রকাশ্যে মানিকচককে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল।মানিকচক কংগ্রেস দলের ব্লক কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্বের সামনেই বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী।মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের নতুন সভাপতিকে মানতে নারাজ দলের একাংশ।এনিয়ে দ্বন্দ।শেষ পর্যন্ত জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ব্লক কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা।এই গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জেলা নেতৃত্বই দায়ী বলে দাবি তাঁদের।জানা গেছে,দীর্ঘ পাঁচ বছর মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন নীলোৎপল মন্ডল।সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।বেশ কিছুদিন সভাপতি হীন অবস্থায় চলছিল মানিকচক ব্লক কংগ্রেস।দুমাস আগে মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে মতিউর রহমানের নাম ঘোষনা করেন জেলা কংগ্রেস কমিটি।তখন থেকেই দোলের অন্দরে শুরু হয় গোষ্ঠীকোন্দল।কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের দাবি,দলীয় নিয়ম মেনে অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে ব্লক সভাপতি নির্বাচন করা হক।শেষমেষ জেলা নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় অঞ্চল সভাপতিদের ভোটাভুটির মাধ্যমে মানিকচক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হবে।দোলের তরফ থেকে সভাপতি হিসাবে মতিউর রহমান এবং চৈতন্য দওের নাম উঠে আসে।বিগত শুক্রবার কোতুয়ালি ভবনে অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতিরা গোপনে ভোট দেন।ন’জন অঞ্চল সভাপতি ভোট দিয়েছিলেন।তাদের মধ্যে পাঁচজনের ভোট যায় মতিউর রহমানের দিকে।চারটি ভোট ছিল চৈতন্য দওের ঝুলিতে।যদিও মানিকচকে মোট এগারোটি অঞ্চল আছে।কিন্তু ভুতনি ও হিরান্দপুর অঞ্চল কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই।তাই দুই অঞ্চলে কংগ্রেসরের কোনও সভাপতি নেই।৫-৪ ভোটে জয়লাভ করে সভাপতি নির্বাচিত হন মতিউর রহমান।
মতিউর রহমানকে সভাপতির পদ বুঝিয়ে দিতে মানিকচক ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে উপস্থিত হন পুরাতন মালদার প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন হালদার,জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কালীসাধন রায়।সভায় ডাকা হয় বিভিন্ন কংগ্রেস নেতাদের।ব্লক কংগ্রেস কার্যলয়ে সভাপতি মতিউর রহমানের নাম ঘোষনা হতেই শুরু হয়ে যায় দুই গোষ্ঠীর বাগবিতন্ডা।একসময়ে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ তোয়াক্কা না করেই কয়েকজন কংগ্রেস নেতা সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান।সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চৈতন্য দও,বরকত আলি সহ আরও কয়েকজন।বরকত আলি দলর গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মেনে নেন,তাঁর দাবি সঠিক নিয়ম মেনে সভাপতি নির্বাচন হয়নি।হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে সভাপতি নাম জানতে পারি।আমাদের উপর জোর করে সভাপতি চাপিয়ে দিচ্ছে জেলা নেতৃত্ব।
Leave a Reply