সাত বছর কেটে গেলেও কংসাবতী নদীর ওপর ব্রীজ তৈরির কাজ আজও অসম্পূর্ণ।

পশ্চিম, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এবং ময়নার যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার কথা ছিল কিন্তু তাঁর সাত বছর কেটে গেলেও কংসাবতী নদীর ওপর ব্রীজ তৈরির কাজ আজও অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নির্মাণ কারী সংস্থার উদ্যোগে ২০১৭ সালে শুরু হয় ময়না পঞ্চায়েত সমিতির প্রজাবাড় গ্রামে কংসাবতী নদীর ওপর উড়াল সেতু নির্মাণের কাজ, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই অসমাপ্ত সেতুটি। যেখানে প্রায় ১৭ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৮৩ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার কথা। সেখানে ঢিলেমিতে ধীর গতিতে কাজ হওয়ার ফলেই সেতুটি যেমন ছিল তেমনই পড়ে রয়েছে। যার ফলে ক্ষুব্ধ কংসাবতী নদীর দুই প্রান্তের মানুষ জন। কংসাবতী নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় দুই প্রান্তের মানুষ জনদের। বিশেষত ভাবে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবসায়ীরা ভারী বোঝা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি হাতে করে বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। পাশাপাশি মোটর বাইক, টোটো, সাইকেল আরোহীরাও বিপজ্জনক ভাবে পারাপার করে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ওই নদীতে বন্যার জল বাড়তে শুরু করলে কখনও কখনও বাঁশের ব্রীজ ভেঙে পড়ে, যার ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেশির ভাগ সময়। তখন জীবন হাতে নিয়ে নৌকা করে পারাপার হতে হয় তাঁদের। প্রতিদিন প্রায় শয়ে শয়ে মানুষ কাজের তাগিদে কেউ পাঁশকুড়া থেকে ময়না, কেউ আবার ময়না থেকে পাঁশকুড়ায় যাতায়াত করেন। কিন্তু পাকাপোক্ত ব্রীজ না হওয়ার জন্য তাঁদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয় বা দুর্বল বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করে তবেই গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে হয়। যার ফলে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষ জনদের। সে কারনে বন্যার আগে দ্রুত ব্রীজ চালু করার আবেদন করেন এলাকার মানুষ জন। তবে পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন তার আগে কি আদৌ কাজ সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষনদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *