নদীয়ায় একই সাথে নিখোঁজ তিন স্কুল পড়ুয়া, অপহরণের অনুমান পরিবারের, ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার তাহের পুর থানার অন্তর্গত বাদকুলয় প্রাইভেটে পরার নাম করে বাড়িথেকে বেড়িয়ে নিখোজ হলো তিন স্কুল পড়ুয়া।
নিখোঁজ হওয়া তিন স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে দুজনের বাড়ি
নদীয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত বাদকুল্লা, তাদের নাম অপূর্ব দাস এবং দেব বিশ্বাস, অপর একজনের বাড়ি, শান্তিপুর থানার সায়ন সরকার।

পরিবারের দাবী, গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ। পরিবারের অনুমান, প্রলোভন দেখিয়ে কোন দুষ্টচক্র অপহরণ করেছে তাদের।


আর এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারদিকে।


জানা যায় দেব বিশ্বাস পিতা অনল বিশ্বাস হোটেল ব্যবসায়ী।
অপূর্ব দাস পিতা অসীম দাস আনাজ ব্যবসায়ী।

দুজনেরই বাড়ি উত্তর আশ্রমপাড়া, দুজনেই ১৪ বছর বয়সী এবং বাদকুল্লা ইউনাইটেড একাডেমিতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।


কিছুটা দূরে শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া বাগানপাড়া এলাকার ছাত্র সায়ন সরকার আরবান্দি নেতাজি বিদ্যাপীঠের ছাত্র।

ওই দুই ছাত্রের সাথে সায়ন গতকাল সকাল ৮ টায় বাদকুল্লা সুরভী স্থানে এক গৃহ শিক্ষকের বাড়ি পড়তে যাওয়ার নাম করে বের হয়।

প্রত্যেকেই একটি করে জামা এবং প্যান্ট নিয়েছে বলেই জানা গেছে পরিবার সূত্রে।।।

তবে দেব বিশ্বাস একটি চিরকুটে মাকে লিখে গেছে, দশ বছর বাদে নিজে পায়ে দাঁড়িয়ে তবে ফিরবে, না বলে চলে যাওয়ার জন্য সে দুঃখিত। তার বাবার এটিএম কার্ড থেকে ২ হাজার টাকা তোলা হয়েছে সকাল আটটা নাগাদ, যা পরবর্তীতে বোঝা গেছে।

তবে বাকি দুই ছাত্র কোন অর্থ বা অন্য কিছুই বাড়ি থেকে নিয়ে যায়নি বলেই জানিয়েছেন পরিবার।


গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন পরিবার থেকেই আন্দাজ করছেন এর পেছনে রয়েছে কোন দুষ্টচক্র। তাদেরকে প্রলভন দেখিয়েই অপহরণ করা হতে পারে বলে তাদের অনুমান।

যদিও গতকাল থেকে বিভিন্ন, গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন, ব্যস্ততম শহর, এবং তাদের আত্মীয় স্বজন পরিবারবর্গের কাছে খোঁজ নিয়েও মেলেনি তাদের হদিস।

আজ দেবু এবং অপূর্বর পরিবার তাহেরপুর থানায় এবং সায়নের পরিবার শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে, এবং তারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি তৎপরতার সঙ্গে দেখতে বলেই জানা গেছে সূত্রের খবর অনুযায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *