তৃণমূল নেতার ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট ঘিরে থানায় ডেপুটেশন।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। আবারও প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকে। ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল শিবিরে। খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী সহ এই ব্লকের নেতা নেত্রীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কেন্দগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব পানের ফেসবুক পোস্টে আপত্তিকর পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবং রাজীব পানের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে খয়রাশোল থানায় তাঁর বিরূদ্ধে এফআইআর করা হয় এবং একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, খয়রাশোল পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব পানের এই পোস্ট স্বভাবতই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনেছে। এর আগেও একাধিকবার খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূলের অন্তর কলহ জনসমক্ষে আসায় অসস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। যদিও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেন।

কাঞ্চন অধিকারী জানান, পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানকে বহুদিন আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিজেপির শুড়শুড়িতে এমন কাজ করেছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী অসীমা ধীবর জানান, উনি একজন অমানুষ। যে ভাবে মহিলাদের নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তাতে আমরা প্রতিবাদ করছি। পাশাপাশি বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্যা আঁখি অধিকারী জানান, একজন দুষ্কৃতী যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে থানায় এসেছিলাম। কাঞ্চন অধিকারী যখন থেকে খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি হয়েছেন তখন থেকেই আর এই ব্লক এলাকায় কোনো খুন বা রক্তপাত হয়নি। তাই দুষ্কৃতীরা তাঁকে এই পদ থেকে সরানোর জন্য তাঁর বৌ এর নামে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে এবং তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি রাজীব পানকে গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে থানায় আমি ধর্না দেব। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পান সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে চায়নি। ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *