১৮ ই জুন রবিবার পিতৃ দিবস পালিত হল রাজ্য জুড়ে।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ ১৮ ই জুন রবিবার পিতৃ দিবস পালিত হল রাজ্য জুড়ে। বাবারা প্রতিটি পরিবারের কাছে বটবৃক্ষের ন্যায়। তবে জন্মদাতা পিতাকে সম্মান জানানোর জন্য একটা দিন যথেষ্ট নয়। প্রতিটি সন্তানের ভিতরে – বাহিরে, অন্তরে- অন্তরে পিতা-মাতার স্থান সদা সর্বদা, সর্বক্ষণ। ঘটা করে লোক দেখানো পিতৃ দিবস দিবস পালন সর্বত্র চলছে। কিন্তু বাস্তবিক কথা হল বেশিরভাগ পরিবারে মা-বাবারা আজ সুখে নেই। অনেক চাকুরীজীবীর, উচ্চ প্রতিষ্টিত সন্তানদের পিতা-মাতা বৃদ্ধাশ্রমে চোখের জলে দিন কাটায়। সংসারে মায়ের তুলনায় পিতার ভূমিকা কে সন্তানরা খুব ছোট করে দেখে। অথচ সন্তান মানুষের মতো মানুষ করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতা উভয়ের ভূমিকা সমান। কিন্তু পিতারা খুব অবহেলিত। সংসার সচল রাখা, সংসারকে স্বচ্ছলতার মুখ দেখানো সবই পিতা করেন। সন্তানের প্রতি দায়িত্ববোধ, স্নেহ ভালবাসা কোন কিছুরই ঘাটতি বেশিরভাগ পিতা রাখেন না। সন্তানদের ভবিষ্যৎ পিতা রোজগারের অর্থের উপরই নির্ভরশীল। অথচ বিধাতার কি নির্মম পরিহাস পিতার মায়ের সমান শ্রদ্ধা- সম্মান সংসারে পায় না। পিতা হচ্ছেন সূর্যের মতো। তিনি সংসারে আলো দেন, পরিবারকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যান। স্বনামধন্য শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই কাল জয়ী গান আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে। পিতা -কন্যার স্নেহ- ভালবাসা, শ্রদ্ধার অপূর্ব একটি সংগীত—” আয় খুকু আয়”। এই গানটি সকলের হৃদয় আকর্ষণ করে। আর তাদের কোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *