নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ গ্রাম পঞ্চায়েত কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বোর্ড গঠন আটকাবে। জেনে রেখো বোর্ড গঠনের দিন যতগুলো তৃনমূলের নেতা যাবে তারা কেউ ফিরে আসবে না”। নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ ডেপুটেশান দিতে গিয়ে এই ভাষাতেই তৃনমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। এদিন তাঁর বক্তব্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্যোধন হিসাবে কটাক্ষ করে তাঁর উরুভঙ্গের হুঁশিয়ারিও দেব দিবাকর ঘরামী।
রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্তি শুরু হয় সোনামুখীতে। সোনামুখী ব্লকে দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শাসক দলের হাতে দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি আক্রান্ত হন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীও। নির্বাচনের দিনেও সোনামুখী ব্লকের বহু বুথে ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে। তারপরও সোনামুখী ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন নিয়ে হুমকি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তৃনমূল। বিধায়কের দাবী তৃনমূল ওই পঞ্চায়েত গুলিতে বিজেপির বোর্ড গঠন করতে দেবে না বলছে। এই প্রসঙ্গ টেনে বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, জনগনের ভোটে জিতে বিজেপি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন করবে। গ্রাম পঞ্চায়েত তৃনমূলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ওইদিন তৃনমূলের নেতারা আটক করতে গেলে আর ফিরে আসবে না।
এদিন বক্তব্য রাখতে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্যোধনের সাথে তুলনা করে তাঁর উরুভঙ্গের হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। দিবাকর ঘরামী বলেন, শুধুমাত্র রাজা হওয়ার লোভে দুর্যোধন একের পর এক অন্যায় করেছিলেন। সেসময় তার উরু ভাঙার জন্য ভীম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। এ রাজ্যেও ভীম তৈরী হয়েছে। ভীম হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী দুর্যোধন অভিষেকের উরু ভাঙবে। যুধিষ্টির রূপী সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এ রাজ্যে দুর্যোধনদের বধ এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
Leave a Reply