দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ-দুবরাজপুরের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের গেটে পড়ল আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার। যেখানে লেখা রয়েছে ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো ছাড়া আবার কে। পৌরপিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০লাখ টাকা। মমতা ব্যানার্জী অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ। ‘ কিন্তু কে এই কাকা ভাইপো ? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। দুবরাজপুর পৌরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিক এমনই পোস্টার দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকালে। যখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে আসেন সেখানকার কর্মীরা তখনই এই পোস্টার চোখে পড়ে তাঁদের। রাজনৈতিক মহলের দাবি আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েই এই পোস্টার রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজায়। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এ বিষয়ে দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পান্ডে বলেন, “উপভোক্তাদের চিহ্নিত করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। পরে উপভোক্তারা নিজেরাই বাড়ি করে। কাকা ভাইপোকে আটটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে এরকম অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । কেউ মদ খেয়ে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবুও আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলেছি বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য। পাশাপাশি ঐ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ভাস্কর রুজ জানান, কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এরকম কাজ করেছে। তবে এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছ ভাবে আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ” রাজ্যের পিসি ভাইপোর কথা আমরা জানি কিন্তু দুবরাজপুরে কাকা ভাইপো কে আছেন এর জবাবটা একমাত্র পৌর প্রধানই দিতে পারেন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা বারংবার আমরা বলেছি। আজকে দুবরাজপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার দিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। আবাস যোজনার বাড়িগুলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার এবং তার ঘনিষ্ঠরা যুক্ত রয়েছেন কাকা ভাইপোর নামে পোস্টার দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গেটে কাকা ভাইপোর পোস্টার।

Leave a Reply