আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ইসরো, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান ৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার পাখির পালকের মতো ভাসতে ভাসতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ছটা চার মিনিটে।, ক’দিন আগে ই রাশিয়ার লুনা ২৫ চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখার আগেই ভেঙে পড়েছিল আর এর ফলে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিল চাপা টেনশন যদিও তাঁরা ছিলেন আত্মবিশ্বাসের ভরপুর, অবশেষে চাঁদের অন্ধকার দিকে ল্যান্ডার বিক্রমের সফটও ল্যান্ডিংয়ে ইতিহাস তৈরি করে ইসরো। ইসরো ওই বিজ্ঞানীদের টিমের একজন অন্যতম সদস্য বাঁকুড়া জেলার কৃশানু নন্দী নিজের স্কুল “ছাতনা কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়” এর ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকদের জন্য পাঠালেন এক আবেগঘন বার্তা, এত বড় একটি এচিভমেন্টে নিজে প্রত্যক্ষ অবদান রাখার পরও নিজেকে এক অতি সাধারণ ছাত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, সাথে সাথে ছোট ছোট ভাই বোনেদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন ছাতনা কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্পিকারে শোনানো হল ইসরোর বিজ্ঞানী এবং এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র কৃষাণু নন্দীর এক্সক্লুসিভ বার্তা।
বিক্রম ল্যান্ড চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডিং হবার আগেই কমলপুর বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষককে ফোন করেছিলেন কৃশানু, বলেছিলেন “এবার আর আমরা ফেল করব না।” অর্থাৎ সফলতা যেন আগে থেকেই দেখতে পেয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীগণ সাথে সাথে বিজ্ঞানী কৃশানু নন্দীও।
তাঁর স্কুল কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “আমরা ওকে বলেছি আসার জন্য কিন্তু সামনেই বোধহয় সূর্যযান এর একটি প্রজেক্ট আছে।” চাঁদের পর এবার কি সূর্য যানেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বাঁকুড়ার এই সন্তান!
বিজ্ঞানী কৃশানু নন্দী কে নিয়ে গর্বিত গোটা বাঁকুড়া বাসীর সঙ্গে তাঁর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা
Leave a Reply