দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলিতে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে সব দাহ করার জন্য গ্রামবাসীদের বিএসএফের বাধা । এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হিলির আগ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের অধীন বৈগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায়।এলাকার বাসিন্দা রাবণ মুরমু জানিয়েছেন যে কবিরাজ মুর্মু তাহার দাদা নামে প্রায় ৭০ বছরের বৃদ্ধর মৃত্যু হয়। এরপরে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের রীতি নীতি মেনে বিএসএফের অস্থায়ীভাবে তৈরি করা বাঁশের বেড়ার ওপারেই রয়েছে শ্মশান। সেই শ্মশানে মৃতদেহ সবদাহ করার জন্য হাজির হয়ে যান শতাধিক এলাকার আদিবাসীরা। রাবণ মুরমু আরো অভিযোগ যে বিএসএফ সব দাহ করার জন্য বাধা দেয়।আর এর ফলেই শুরু হয় গ্রামবাসীদের সাথে বিএসএফের বচসা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন রাতের অন্ধকারে ফেনসিডিল কফ সিরাপ গাঞ্জা সহ ইয়াবা ইঞ্জেকশন কোটি কোটি টাকার এই সব সামগ্রগুলি বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বিএসএফ। অথচ মৃতদেহ পোড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফের এমন ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আগ্রা, বৈগ্রাম, নফর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বিজেপি দলের গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি সঞ্জয় মরমু জানিয়েছেন যে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আমাদের যেতে বাধা দেয় বিএসএফ। বিএসএফের এমন ভূমিকায় তিনিও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন বিষয়টি হিলির বিডিও কেউ জানিয়েও কোন ব্যবস্থা বা সদুত্তর দেননি।।ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন হিলি থানার পুলিশ। এরপর গ্রামবাসী এবং বিএসএফকে বুঝিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করেন হিলি থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বিএসএফের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সাথে অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও বিএসএফের আধিকারিকদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
হিলির আগ্রা সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত এলাকায় মৃতুদহ দাহ করার জন্য বাধা বিএসএফের।
Leave a Reply