তৃণমূলের প্রভাবশালীদের মদতে টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি থেকে পানীয় জল প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসানোর অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ– তৃণমূলের প্রভাবশালীদের মদতে টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি থেকে পানীয় জল প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসানোর অভিযোগ।অভিযোগের তীর এলাকার বিধায়কের দিকে। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে
সোমবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডীপুর,উত্তর সালদহ,দক্ষিণ সালদহ ও পশ্চিম সালদহ গ্রামের লোকেরা ‌রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,
পশ্চিম সালদহ মাঠে ১ নং খতিয়ানের পাঁচ বিঘা জমি আক্তার হোসেন,চিলহুয়া সেখ ও নৌসাদ আলি দীর্ঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।আক্তার হোসেনের দখলে থাকা জমিতে পি এইচ ই বসানোর কথা ছিল।এর জন্য পি এইচ ই দপ্তরের আধিকারীক,হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও ও ভুমি ও ভুমি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা এসে জমি পরিদর্শন করে জন স্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের নামে রেকর্ড ভুক্ত করে নিয়েছেন।আরো কিছু জমি নেওয়ার কথা চলছিল।ইতিমধ্যে হটাৎ করে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।সেই সরকারি রেকর্ড ভুক্ত জমিতে পি এইচ ই না বসিয়ে স্থানীয় অন্য একজনের রায়তী জমিতে বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন পি এইচ ই দপ্তর।অভিযোগ,সরকারি খাস জমিতে না বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি জমিতে বসানো হচ্ছে পি এইচ ই।এমনকি রায়তী জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে চাকরির প্রলোভন।চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষের মদতে এই ধরনের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ।তাদের আরো অভিযোগ,
চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ এলাকায় কিছু ঘনিষ্ঠ অনুগামী রেখেছেন।এরা কেউ তৃণমূলের যুব নেতা আবার কেউ প্রাক্তন উপপ্রধান।তাদের মারফতে এলাকারই এক রায়তী জমির মালিক ডেম্পুর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার জমিতে এই পি এইচ ই টি বসাচ্ছেন।এবং যে জমিটি সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল সেই জমি থেকে প্রকল্প সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।অভিযোগ উঠেছে এই কাজে প্রচ্ছন্নভাবে মদত যোগাচ্ছেন এলাকার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ।বিধায়ক নিহার জানান,তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।ওটি সরকারি প্রকল্প।সরকার যেখানে মনে করেছে সেখানেই প্রকল্পটি করছে।যারা বিক্ষোভ‌ দেখিয়ে অভিযোগ তুলছেন তারাই হলেন দালাল।তারা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করেছেন।যদিও এ প্রসঙ্গে ভিডিও অনির্বাণ বসু জানান বিষয়টি তার জানা নেই।তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *