বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির সংস্কৃত বিভাগের ছাত্রের কিডন্যাপের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ- বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র পান্না চারা। যার আসল বাড়ি মায়ানমার। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বীরভূম জেলা বোলপুর থানার পুলিশ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ও দীঘা থানা ও তালসারি কোস্টাল থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তালসারি সি-বিচ দুপুর তিনটের নাগাদ তালসারি সিবিচ থেকে উদ্ধার করা হল। সেইসঙ্গে পাঁচ কিডন্যাপারকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সন্ধ্যার নাগাদ অপহৃত ছাত্র ও ৫ কিডন্যাপারকে নিয়ে বীরভূমের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বীরভূমের বোলপুর থানার আইসি “সাকিব সাহেল”
পড়াশোনার সাথে সাথে ব্যবসায়ী সম্পর্ক থাকার কারণে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর।ঘটনায় জানা যায় ব্যবসায় সূত্রে কিডন্যাপ বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। মায়ানমারের বাসিন্দা পান্না চারা ভারতীয় নাগরিক হয়েছে বলে অভিযুক্তদের দাবি। অভিযুক্ত মধ্যে মূল চক্রী সাহির মোহাম্মদ বলেন পান্নার সঙ্গে তার পরিচয় ব্যবসায়িক সূত্রে কলকাতার দমদমে।
অভিযুক্ত সাহির পেশায় চুল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পশ্চিম সরবেড়িয়া মোহনপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সম্পর্কে পান্না চারা সঙ্গে তার পরিচয় ওই ভগবানপুর এলাকার অধিকাংশই মাথার চুলের ব্যবসা করেন। সাহির এর সঙ্গে পান্না চুলের ব্যবসা করার জন্য প্রথমে নয় লক্ষ টাকা দেয় পরে মাল আদান-প্রদান হতে থাকে। সেই সঙ্গে সাহির এলাকা থেকে চুল সংগ্রহ করে পান্নাকে দিতে থাকে। সেই জায়গায় মালের পরিমাণ দাঁড়িয়ে যায়, ৫১ লক্ষ টাকা, কিন্তু সেই টাকা পান্না দিতে পারছিল না বলে সাহিরের অভিযোগ। বিভিন্ন ওছিলায় তাকে নানাভাবে ঘোরানো হচ্ছিল বলে সাহির অভিযোগ করে তার বক্তব্যে। এদিকে সাহির যাদের কাছ থেকে চুল সংগ্রহ করেছিল তারা চাপ দিতে থাকে পয়সা দেওয়ার জন্য। অবশেষে সাহির ওই যুবককে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুরে সাহিরের অফিসে ডেকে পাঠায় সেখানে পান্না হাজির হলে তাকে গত একুশে সেপ্টেম্বর চন্ডিপুরে হাজির হয় বলে জানা গেছে। পরেরদিন তাকে সাহির এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গ ওই যুবককে তালসারীতে নিয়ে আসে একটি গাড়ি ভাড়া করে ‌ তালসারি এক স্থানীয় ব্যবসায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে ওই ছাত্রকে রাখা হয়। এবং তাকে বলা হয় যাতে করে ওই যুবক কোন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ না করে। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীর ওই ছাত্র পান্নার বান্ধবী সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়। সেখানে পান্না জানায় তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ধমক চমক দেওয়া হচ্ছে মেরে ফেলার জন্য। তখনই ওই বান্ধবী তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বোলপুর থানার পুলিশ দীঘায় আসে এবং দীঘা পুলিশের সহযোগিতায় তার টাওয়ার লোকেশান চেক করে তালসারিতে হাজির হয়।। সেই সঙ্গে তালসারি কোস্টাল পুলিশের সহযোগিতায় দুপুর তিনটার নাগাদ অবৈধ ছাত্রকে উদ্ধার করে এবং সেই সঙ্গে পাঁচ কিডন্যাপারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর সঙ্গে বাকি সাত জন অভিযুক্ত ছিল তারা গাড়ি করে পালিয়ে যায় পরে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। যদিও বা ওই ছাত্র কোন কিছু বলতে চাইনি। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কিছু বলতে না চাইলেও বোলপুর থানার আইসি সাকিব সোহেল বলেন ওই ছাত্রকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল। যারা কিডনাপার ছিল তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে পরবর্তীকালে তদন্তে সঠিক ঘটনা উঠে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *