বাঁকুড়া শহরের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হল বাঁকুড়া ভিডিও অ্যান্ড স্টিল ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক এবং ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ – বাঁকুড়া শহরের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হল বাঁকুড়া ভিডিও অ্যান্ড স্টিল ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক এবং ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী। শুরু হয় ২০১১ সালে, ১৩ বছর পরও একই উদ্দীপনা দেখা গেল ফটোগ্রাফারদের মধ্যে। বাঁকুড়া জেলা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন বহু ফটোগ্রাফার। ফটোগ্রাফি সংস্থাগুলি স্টল করে এদিন নিজেদের ছবি এবং ভিডিও এবং সরঞ্জাম প্রদর্শন করেন। দেওয়া হয় সংবর্ধনাও। ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির উপরে কর্মশালায় আয়োজিত হবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া ভিডিও অ্যান্ড স্টিল ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ধর্মেন্দ্র সিং।

বর্তমান সমাজে ছবি এবং ভিডিও করা একটি শিল্প পরিণত হয়েছে। বিয়ে বাড়ির ছবি তোলা থেকে , সংবাদ পত্রের জন্যে ছবি কিংবা চলচ্চিত্র বানানোর জন্যে ভিডিও বানানো, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ক্যামেরার। আজকাল সকলের হাতে হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন দিয়েই তোলা যেতে পারে আকর্ষণীয় ছবি। ধর্মেন্দ্র সিং জানান মূলত আলো নিয়ে খেলা করতে পারলে এবং নিজের সাবজেক্টকে চিনতে পারলে মুঠো ফোনই ছবি তোলার এক মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। “রুল অফ থার্ডস”, সাবজেক্ট বা অবজেক্ট, এইসব কঠিন ফটোগ্রাফির ভাষা না বুঝলেও ব্যাক লাইট ব্যাবহার করে তোলা যেতে পারে ভালো উজ্জ্বল ছবি।

বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ জন যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলাতে রয়েছে ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশন। ফটোগ্রাফারদের একটি পরিচিতি দিতে তৈরি হয় সংগঠন। দূর দূরান্তে ক্যামেরার মত জটিল যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে কাজ করতে যান ফটোগ্রাফাররা। যান্ত্রিক ত্রুটি হলে অথবা কোনোও বিপদ হলে পাশে দাঁড়াবে অ্যাসোসিয়েশন। এই অঙ্গীকার নিয়ে একতার মন্ত্রে এগিয়ে চলছেন তাঁরা।

বাঁকুড়া বাসীর জন্যে এ এক দর্শনীয় আয়োজন ছিল বললে ভুল হবেনা। আগ্রহীরা জমা হয়েছিলেন দামী দামী ডি এস এল আর এবং ক্যামকরডার নিজের হাতে পরীক্ষা করবার জন্যে। ব্যাবস্থা ছিল ভিডিও এডিটিং এবং ফটো এডিটিংয়ের খুঁটি নাটিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *