রাজনৈতিক তরজা বর্গা জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মালদহে।

মালদহ, নিজস্ব সংবাদদাতা:—–বর্গা জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক অঞ্চলের আট মাইল এলাকায়। রবিবার সাত সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকা চত্বর জুড়ে। অভিযোগ, আট মাইল এলাকার ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে বর্গাদার নামে একটি জমি। সে জমিতেই বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছেন স্থানীয় অমল মুর্মু নামে এক ভাগচাষী। তবে অন্যদিকে মন্ডল টুডু নামে আরেক জন ভাগচাষী জোরপূর্বক ভাবে দাবি করছে সেই জমি তার পূর্বপুরুষের নামে বর্গা রয়েছে। সেই মোতাবেক লোকজন নিয়ে রবিবার সাত সকালে জোরপূর্বক ভাবে দখল করে বলে অভিযোগ। যদিও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে ধান কেটে চাষ করে দেওয়ার একটা অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে আশ্চর্যের বিষয় গন্ডগোলের ঘটনা ঘটা সত্বেও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ।
এদিকে ভাগচাষী মন্ডল টুডু জানান, পূর্বকাল অনুযায়ী আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে ছিল বর্গা রেকর্ড তবে বর্তমানে আমাদের নাম ভাঙিয়ে জালিয়াতি করে নিজের নামে করে নিয়েছে অমল মুর্মু। তবে আমরা আজকে লোকজন নিয়ে আমাদের নিজের জায়গা দখল করতে এসেছি।
যদিও অন্যদিকে ভাগচাষী অমল মুর্মু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই জমি নিয়ে মামলা চলছে। তবে জমির প্রকৃত মালিকানা ষড়যন্ত্র করে হঠাৎ দেখি আমার বর্গাদার রেকর্ড থেকে নাম উচ্ছেদ করে দিয়েছে। যদিও এ নিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও এ নিয়ে একটি মামলা চলছে। ইতিমধ্যে আজ অপরপক্ষ অতর্কিতভাবে আমার জমিতে এসে জোরপূর্বক ভাবে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে সমস্ত ধান নষ্ট করে দিয়েছে এবং দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও এর পেছনে পুরোপুরি মদত দিচ্ছে আদিবাসী জেডিপি নেতা ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। আমরা এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে দারস্থ হয়েছি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আদিবাসী সংগঠনের জেডিপি নেতা মোহন হাঁসদা কে ধরা হলে তিনি জানান, আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন আমরা কারও সম্পত্তি দখল করতে যাইনি। যদি কারোর পূর্বপুরুষের সম্পত্তি থাকে তাহলে কি সে সম্পত্তি পাবে না সে মোতাবেক আজকে মন্ডল টুডু তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে নিজের জমি দখল করতে গিয়েছিল। এখন যে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে তার পিছনে মদত দিচ্ছে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। তার মদতেই ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সাথে যোগসাজশ করে ভুয়ো বর্গা রেকর্ড বানিয়ে দিয়েছে।

অপরদিকে বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। আমি ঘটনাটি শুনেছি প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *