প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে পুলিশের একাংশ কে দালাল বলে কটাক্ষ,তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা,০৯ডিসেম্বর:–-প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে পুলিশের একাংশ কে দালাল বলে কটাক্ষ,তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে।বিরোধীদের পর এবার শাসকেরও রোশের মুখে পুলিশ। সভামঞ্চ থেকে পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ তৃণমূল নেতাদের। পঞ্চায়েত ভোটে হারের রেশ গিয়ে পড়ল পুলিশের উপর। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দালাল বলে কটাক্ষ পুলিশকে। “বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান”। “সাথে লোকসভার আগে বিজেপি নেতাদের কবর দেওয়ার হুঁশিয়ারি”। আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা মঞ্চ থেকে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতাদের। যে মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। মন্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের। ইডি আসতে পারে তাই ভয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে খোঁচা বিজেপির। চুরি করতে পারছে না তাই ভুল বকছে এরপর পাগলা গারদে যাবে এমন ভাষাতেই কটাক্ষ কংগ্রেসের। তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহীদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শনিবার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১(A) নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি সাহেব দাস, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান, যুব ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মক্রম আলী ওরফে (স্বপন) সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলী এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি। মঞ্চ থেকে স্বপন আলী অভিযোগ করেন পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাদের জন্যই পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সাথে স্বপন বাবুর নিদান লোকসভার সময় বিজেপি নেতাদের গণতান্ত্রিক ভাবে কবর দেওয়া হবে। আরো একধাপ এগিয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি বলেন যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল এলাকায়।এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। যদিও পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বক্তব্য কে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গেছেন।দুই তৃণমূল নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনীতির পারদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *