অসমাপ্ত অধ্যায় : লাজু চৌধুরী।

রাস্তা ক্রস করতেই থমকে গেলাম।
চলতি পথে ভিড়ের মাঝে আমি থমকে গেছি।
অনেক ক্ষন তাকিয়ে ছিলাম ——
সেই তুমি ভারী পুড়ো ফ্রেমের চশমা পচিঁশ বছর আগে তোমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম,
তুমি ও খোঁজ নাওনি।

এবার আমায় থামিয়ে বললো বাসন্তী একটু থামো এই আসছি ক্ষানিক ক্ষন অপেক্ষা করলাম বাতাসের মত হাজির হলো সৌমিক। এক গুচ্ছো বেলি ফুলের মালা আমার হাতে দিয়ে বললো শুভজন্ম দিন।
আজ ত্রিরিশে অগাস্ট।
এখন বলো বাসন্তী তুমি কেমন আছো। স্যাঁতস্যাঁতেভাব ভোর দুপুরে রোদ গুলো ক্লান্ত বিষন্ন বাড়ির আনাচে কোনাচে
পড়ে আছে যাকে বলে মরা কার্তিকের বাসন্তী।

সৌমিক বাসন্তীর হাত ধরে বললো এতোটা বদলে গেছো
না তো বদলে যাইনি বরং বয়সটা বেড়েছে এই আর কি।
আর সব কিছুইতো ঠিক আছে। শুধু অবাক হচ্ছি তোমাকে দেখে।
মৌমিক খুব শব্দ করে হাসলো। যা আগে কখনও চোখে পড়েনি বাসন্তী অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

কত বছর পর সৌমিকের মুখোমুখি দাঁড়ালাম। কাল কখনও নতুন করে ফিরে আসেনা।
কাল শুধু পুড়নোই থেকে যায়।
সৌমিক আর আমার মাঝে নামহীন সম্পর্ক। যে সম্পর্কের কোন পিলার ছিলোনা।

সৌমিক বাসন্তীকে প্রশ্ন করলো মরা কার্তিকের বাসন্তী বললে কেনো।
বাসন্তী কত বছর পর সৌমিকের চোখে চোখ রেখে বললো
আমি এখন চকলেটের ফ্লেবারের মত গ্রাহকদের হাতে হাতে।
সৌমিকের চোখ গড়িয়ে জল পড়ছে।
তোমার আমার সম্পর্কের কোন নাম ছিলোনা কিন্তু?
বাসন্তী প্রশ্ন করলো কিন্তু কি?
সৌমিক সব কিছু থামিয়ে দিয়ে বললো সময় এবং সম্পর্ক
দুটৌ মিলে অসমাপ্ত অধ্যায়।
বাসন্তী সব সম্পর্কের হয়তো নাম থাকে না। থেকে যায় শুধু কাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *