স্নেহা সাউ এর হাতে বাস ফ্রি পাস তুলে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে।

পঃ মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পিতা-মাতা বেঁচে নেই। অনূড়া কন্যা। স্নাতক স্তরে পাঠরতা। কেসিয়ারী কলেজে পড়েন।বাড়িতে আর কেউ নেই। ক্ষুন্নিবৃত্তি থেকে পড়াশুনার খরচ সব-ই বহন করতে হয় তাকেই। এই জীবন সংগ্রামে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন স্নেহা সাউ নাম্নী এক তরুণী। সিদ্ধান্ত এক প্রকার নিয়েই ফেলেছিলেন যে, পড়াশুনা ছেড়েই দেবেন। কিন্তু কলেজে আয়োজিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক আইনি শিবিরে কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক দিব্যেন্দু নাথের বক্তব্য সোনার পর আশা জেগে ছিল মনে। সাথে সাথে তাঁর সমস্যার কথা জানিয়ে ছিল স্নেহা সাউ। তারপর কলেজে প্রত্যহ যাতায়াতের জন্য ফ্রি পাশের ব্যবস্থা করে দেওয়া হল ওই ছাত্রীটির জন্য। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের এই সহযোগিতায় তরুণীটি আপ্লুত। কলেজের অধ্যাপকগনও কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে দারুন খুশি। বিচারক জানান, ছাত্রীটির আবেদনের ভিত্তিতে আইনি সহায়ক কাজী মহম্মদ মুর্তজাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই জেলা বাস অনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগানক মাইতির সাথে যোগাযোগ করে ছাত্রীটির জন্য বাস ফ্রি পাশের জন্য অনুরোধ করেন। আজ বুধবার স্নেহা সাউ এর হাতে এই বাস ফ্রি পাসটি তুলে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *