আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ – সকালে ওঠেই স্নান করে নতুন জামা আর মাথায় টুপি পড়ে বাড়ি থেকে গুটি গুটি পায়ে ঈদগায় পৌঁছায় বছর ৪২ এর সেখ মইনুদ্দিন। এরপর ইমাম সাহেব সকলকে কাতারে দাঁড়াতে বলেন। নামাজের কাতারে দাঁড়াতেই মইনুদ্দিন এর দেহ থেকে ঘাম বের হতে থাকে। আসতে আসতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাথে সাথে ইন্দাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাইনুদ্দিনকে। ডাক্তার বাবু চিকিৎসা শুরু করার পরেই মারা যান সেখ মইনুদ্দিন। হাসপাতাল থেকে মইনুদ্দিনের দেহ গ্ৰামে ফিরতেই গোটা গ্ৰাম স্তব্ধ হয়ে গেল।প্রিয় মানুষকে হারিয়ে পরিবার ভেঙে পড়েছে কান্নায়,শোকে দুঃখে পাষাণ বাবা মা,ভাই বোন। পাড়া প্রতিবেশী থেকে গ্ৰামের মানুষ,সকলই শোকাহত,প্রত্যেকের চোখে জল কোন বাধা মানছে না।সব মিলিয়ে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ধরমপুর গ্ৰাম যেন জীবন্ত মৃত্যু পুরী।যেখানে কান পাতলেই শোনা যায় শুধু পরম আত্মীয় প্রায়াণে করুন বিলাপ আর একনাগারে হৃদয় বিদায়ক কান্নার করুন আওয়াজ। শেষবারের মতো দেখার জন্য পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও গ্ৰামের সর্বস্তরের মানুষ বহু আগে থেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন গ্ৰামে । তাদের প্রিয় মানুষকে শেষবারের মতো দর্শন করবে সকলে।শেষ দর্শনের পর পরিবার পরিজনের হৃদয় ভেঙ্গে যায় শোকে দুঃখে, তেমনি উপস্থিত বাকিরাও ধরে রাখতে পারে না চোখের জল।
ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে, বাড়িতে ফিরলো সেখ মইনুদ্দিনের নিথর দেহ।

Leave a Reply