সাধনা এবং ইচ্ছা শক্তির জোরে মাত্র চতুর্থ শ্রেণী উত্তীর্ণ শাহ সুফি আবদুল করিম আল চিশতীর দ্বারা রচিত হয় ধর্মগ্রন্থ “মলকুত থেকে বলছি” যা তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শাহ সুফি আবদুল করিম চিশতির মৃত্যু দিবসে তাঁকে ফিরে দেখা বারবার। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শিমুলিয়া এলাকায় জন্ম শাহ সুফি আবদুল করিম আল চিশতী ছিলেন মূলত একজন সুফি সাধক। অল্প বয়সে জীবনের স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্ম পরিত্যাগ করে সৃষ্টি কর্তার নৈকট্য পাওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং বাংলাদেশের সুফি সাধক খাজা মনসুর আলী চিশতীর কাছে ১০ বছর থাকেন এবং গুরুর সেবাযত্ন করে নিজের আধ্যাত্ত্বিকতার উৎকর্ষ সাধন করেন।। যদিও জানা যায় শাহ সুফি আবদুল করিম চিশতী মাত্র চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন কিন্তু ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় এবং সাধনার জোরে তিনি নানাবিদ জ্ঞান অর্জন করেন এবং পরবর্তী সময়ে মহা মূল্যবান ধর্মগ্ৰন্থ *মলকুত থেকে বলছি” রচনা করেন যা তাঁকে পৌঁছে দিলেন মানুষের সাধারণ গণ্ডি পার করে এক অন্য উচ্চতায়। এই মহাজ্ঞানী ও ধার্মিক শাহ সুফি আব্দুল করিম চিশতি ১৩৮৯ সালে ১৫ ই বৈশাখ মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তাঁর গুরুদেবের কাছেই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকে গমন করেন। সেই যাবত প্রতি বছর ১৫ ই বৈশাখ আবদুল করিম চিশতীর দরবারে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে এবং শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে প্রত্যেকে তাঁকে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধাযাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *